'পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ আর মুখ ঢেকে সন্ত্রাস চালাতে পারবে না', অনুব্রতর গড়ে মমতাকে নিশানা সেলিমের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। বীরভূমে বামেদের বড় জমায়েত। সেখানেই সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে রীতিমত চাঁচাছোলা ভাষায়  তোপ দাগেন।

Web Desk - ANB | Published : Oct 18, 2022 12:17 PM IST

"নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে তৃণমূলের সব বদ গুলোকে পাঁঠার বলি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কালীঘাটের মা কালী সব বদ গুলোর মুণ্ড না নিয়ে খান্ত হবেন না"। মঙ্গলবার বীরভূমের মাড়গ্রামে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এভাবে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন  সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।

এদিন বেলার দিকে বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার মাড়গ্রামে একটি পদযাত্রার আয়োজন করে সিপিএম। পদযাত্রা শেষে একটি পথসভাও করা হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম। সাংবাদিকদের সামনে  তিনি বলেন, "চোরের রাণী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে বাঁচতে এবং ভাইপোকে বাঁচাতে সকলকে বলির পাঁঠা করছেন। প্রথমে আনিস খান হত্যায় ধৃত পুলিশকর্মীরা মুখ খুলেছেন। তারপর প্রাক্তন মন্ত্রী ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। দুদিন পর অনুব্রত মণ্ডলও বলবেন। প্রথমে ভেবেছিলেন আর এস এস, বিজেপিকে ধরে অনুব্রতকে বাঁচাবেন। সেই সেটিং না হওয়ায় অনুব্রতকে বীরের সম্মান দিয়ে  জেলে বন্দি থাকার ব্যবস্থা পাকা করেছেন। আগামী দিনে আরও চোরদের জেলে ঢোকানো হবে", এমনটাও দাবি করেন সিপিএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক। 

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের উন্নয়ন বাহিনী মুখ ঢেকে সন্ত্রাস চালিয়েছিল। কিন্তু এবার আর পারবে না বলে দাবি করেন সেলিম। তিনি বলেন, "যারা মুখে ঢেকেছিল সেই কিষানজি, ছত্রধর মাহাত এবং তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। ফলে এখন আর কেউ মুখে ঢেকে যৌথভাবে সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরে ঘোমটা টেনে খেমটা নাচ নেচেছেন। তাতে রাজ্যের গণতন্ত্র নিধন হয়েছে। মানুষের ঐক্য ভেঙেছে। কিন্তু মানুষ পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আর তাদের ঐক্য ভাঙ্গা যাবে না। এতদিন বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে ঐক্য ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ফলে এতদিন তাদের আন্দোলনে নামার ধক ছিল না। কিন্তু এবার চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় নেমেছেন। তাদের হকের চাকরির দাবিতে। আমরা তাদের পাশে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছি। সল্টলেকে টেট উত্তীর্ণদের পাশে আমরা রয়েছি। তাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক পাঠানো হয়েছে"।

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। কারণ তারাও লুঠের টাকার বখরা পায়। আমরা চায় মানুষের অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া হোক। আমাদের দাবিতে সরকার গ্রামসভা ডাকার নোটিশ জারি করেছে। আমরা চাইবো কোন রাজনৈতিক দল নয়, বিডিও এবং এস ডি ওরা গ্রামসভা ডেকে মানুষের হকের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিক। নইলে আমরা দুর্নীতির কাগজপত্র নিয়ে বি এবং এস ডি ও অফিসে চড়াও হব"।

মালবাজারে মমতা কথা বললেন হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রীকে 'পর্যটক' কটাক্ষ নিশীথের

সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই মামলায় স্বস্তি মানিকের, তবে আপাতত ইডি-র হেফাজত থেকে মুক্তি নেই

টেট দুর্নীতি মামলায় ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল নয়, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

Share this article
click me!