বাড়ির সামনেই নর্দমার মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ডায়মন্ড হারবার রেল স্টেশন মাস্টারের দেহ। এ দিন সকালে ডায়মন্ড হারবার স্টেশনের কাছেই একটি নর্দমার মধ্যে ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই মৃতের বাড়ির পরিবারের সদস্যদের ডেকে বিষয়টি জানান। তরুণ স্টেশন মাস্টারের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ডায়মন্ড হারবারের রায়নগর রেলগেট এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন নির্মল কুমার নামে ওই রেলকর্মী। আদতে বিহারের বাসিন্দা নির্মল কুমার ডায়মন্ড হারবারের স্টেশন মাস্টার ছিলেন। সেই কারণেই স্টেশনের কাছে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন নির্মল কুমার। তিন দিন আগে তাঁর স্ত্রী, শিশুপুত্র এবং শ্যালক ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে আসেন।
মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, খাওয়া দাওয়ার পরে রবিবার রাত দশটা নাগাদ কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে বেরনোর কথা বলেছিলেন নির্মল কুমার। এর পরে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী। নির্মল কুমারের শ্যালকেরও দাবি,তাঁর জামাইবাবু কখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি তাঁরা। এমন কী, তিনি যে নর্দমার মধ্যে পড়ে গিয়েছেন, বাড়ির ভিতর থেকে তাঁরা সেরকম কোনও আওয়াজও পাননি বলে দাবি মৃতের শ্যালকের। ভোরবেলা প্রতিবেশীরাই ওই রেল কর্মীর দেহ নর্দমার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালককে ডেকে বিষয়টি জানান।
কীভাবে ওই রেলকর্মী নর্দমার মধ্যে পড়ে গেলেন, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃতের শ্যালকের দাবি, তাঁর জামাইবাবুস মদ্যপান করতেন না। ফলে, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নর্দমায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মৃতের দেহে বাইরে থেকে কোনও আঘাতের চিহ্নও চোখে পড়েনি। মৃতের শ্যালকের অবশ্য দাবি, বেশ কিছুদিন আগে ফোনে কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন নির্মল কুমার। কিন্তু সেই বিবাদের জেরে ওই রেল কর্মীকে কেউ খুন করবেন কি না, তাই নিয়েও ধোঁয়াশায় মৃতের পরিবারের সদস্যরা। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী এবং শ্যালকের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।