ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব শেষ হওয়ার বেশ কয়েকঘণ্টা পরে সামনে এল সবথেকে বড় দুর্ঘটনার খবর। ঝড়ের তাণ্ডবে ট্রলার উল্টে একসঙ্গে ন' জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ হয়ে গেলেন। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে এক মৎস্যজীবীর দেহ। শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চলাকালীন এই দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার
বুলবুল আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় আগেল থেকেই গভীর সমুদ্র থেকে সমস্ত মাছ ধরার ট্রলারকেই ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসন। শনিবার রাতে নামখানার পাতিপুড়িয়া এলাকায় একটি ফেরিঘাটে একসঙ্গে প্রায় চল্লিশটি ট্রলার দাঁড় করানো ছিল। স্থানীয় মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতা বিজন মাইতি জানান, প্রবল ঝড়ের সময় হাওয়ার দাপট এবং জলস্ফীতির কারণেই চন্দ্রাণী এবং মা কমলা নামে দু'টি ট্রলার উল্টে যায়।
চন্দ্রাণী নামে ট্রলারটিতে যে কুড়িজন মৎস্যজীবী ছিলেন তাঁরা সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু মা কমলা ট্রলারে থাকা বারোজন মৎস্যজীবীর মধ্যে মাত্র তিনজন পাড়ে উঠতে পারেন।
এ দিন সকালে দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই এক সঞ্জয় দাস (৪০) নামে এক মৎস্যজীবীর দেহ ভেসে ওঠে। তাঁর বাড়ি কাকদ্বীপের স্টিমার ঘাট এলাকায়। এখনও আট জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। বিজনবাবু জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের সাহায্য় নিয়ে এ দিন উল্টে যাওয়া ট্রলারটি সোজা করার চেষ্টা করা হলেও অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় তা করা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকালে ফের ওই ট্রলারটি সোজা করা হবে। মৎস্যজীবী সংগঠনের আশঙ্কা, উল্টে যাওয়া ট্রলারের নীচেই নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের দেহ আটকে রয়েছে।
এত সতর্কতার পরেও কীভাবে ওই মৎস্যজীবীরা ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় নদীর পাড়ে বেঁধে রাখা ট্রলারে মধ্যেই থেকে গেলেন, সেই প্রশ্ন উঠছে। মৎস্যজীবী সংগঠন বা জেলা প্রশাসনের যথাযথভাবে তাঁদের সতর্ক করেছিল কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।