NEET পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৬.৩ শতাংশ যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এর ফলাফলের তালিকায় ২২ তম স্থানটি দখল করে নিয়েছে মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা।
৭ ই সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় NEET পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। উত্তীর্ণ হওয়া পরীক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ডাক্তারিতে। এবছর রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন যা ২০২১ সালের পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় বহুগুন বেশি। দেশজুড়ে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ইংরেজি ছাড়া আরও ১২টি ভাষায় পরীক্ষা পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অসমীয়া, বাংলা, ইংরেজি, গুজরাটি, হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু এবং উর্দু।
ভারতের বাইরে ১৪টি শহরে ৩,৫৭০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রায় ৯৫ শতাংশ উপস্থিতির রেকর্ড হয়েছে এবছর। এই প্রথমবার দুবাই এবং কুয়েত শহরের পাশাপাশি আবু ধাবি, ব্যাংকক, কলম্বো, দোহা, কাঠমান্ডু, কুয়ালালামপুর, লাগোস, মানামা, মাস্কট, রিয়াদ, শারজাহ, সিঙ্গাপুরে NEET পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পরীক্ষাটি নেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
সর্ব ভারতীয় NEET পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭,৬৪,৫৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯,৯৩,০৬৯ (৫৬.৩ শতাংশ) যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এর ফলাফলের তালিকায় ২২ তম স্থানটি দখল করে নিয়েছে মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা বেরা। ভারতের মধ্যে ২২ স্থানাধিকারি হওয়ার পাশাপাশি সারা বাংলার মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেছে সে। তার এই অসাধারণ ফলাফলে অত্যন্ত খুশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্য, আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুবান্ধবরা। NEET পরীক্ষার মোট ৭২০ নম্বরের মধ্যে দেবাঙ্কিতার প্রাপ্ত নম্বর এসেছে ৭০৫।
মহিষাদলের দেবাঙ্কিতা পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে মহিষাদল গয়েশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। ২০২০ সালে মাধ্যমিকে পশ্চিমবঙ্গে একাদশ স্থান লাভ করে দারুণ রেজাল্ট করার পর মহিষাদল রাজ হাই স্কুলে একাদশ শ্রেণির পঠনপাঠন শুরু করে। ২০২২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে খড়গপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে NEET পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নেয়। বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও জীবনে ভালো ফলাফল করা যায়, সেই বিষয়ে নিশ্চিত ছিল এই মেধাবী পড়ুয়া। তার বাবা ও মা দুজনেই শিক্ষকতার কাজে নিযুক্ত। বাবা চংরাচক জগদীশ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের গণিত বিষয়ের শিক্ষক এবং মা মামুদপুর গোবিন্দ শিক্ষা নিকেতনে বাংলার শিক্ষিকা। ছোট থেকেই দেবাঙ্কিতা মেধাবি ছাত্রী বলে জানিয়েছে তার পরিবার। নিজের সাফল্যে দারুণ আনন্দিত সে। তার এই সফল্যের পেছনে বাবা ও মায়ের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানিয়েছে দেবাঙ্কিতা।
আরও পড়ুন-
‘মা’-এর স্নেহে আচ্ছাদিত কাশী বোস লেনের দুর্গাপুজো, কলকাতায় প্রথম থ্রি ডাইমেনশনাল দৃশ্যের পুজোমণ্ডপ
আত্মপ্রত্যয়ের স্ফুরণ ছড়িয়ে দিতে চোরবাগান সার্বজনীনের থিম ‘অন্তর্শক্তি’, সম্মান জানাল স্বয়ং ইউনেস্কো
৩ বছর বয়সেই দু-দুটো বিশ্ব রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডস-এ নাম তুলল বাংলার মেয়ে অভিলাশা