আশিস মণ্ডল, বীরভূম: এবার জেলা শাসকের বাংলোতে থাবা বসাল করোনা। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বীরভূমের জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা। আপাতত অফিসে বসেই কাজ চালাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে বিপদের আশঙ্কা, এবার দার্জিলিং পাহাড়েও লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত জিটিএ
গ্রাম ছাড়িয়ে এবার করোনা থাবা বসিয়েছে শহরেও। বীরভূম জেলা ছয়টি পুরসভা এলাকায় এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুই মহিলা-সহ ডিএম বাংলোয় কর্মরত তিনজন কর্মীর করোনা ধরা পড়েছে। জেলাশহর সিউড়িতে সংক্রমিত হয়েছেন আরও দু'জন। সকলেই ভর্তি বোলপুর গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে। শুক্রবার থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন চলে গিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। বাংলাটিকে জীবাণুমক্ত করা হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত কর্মীরা কোনওদিনই তাঁর সংস্পর্শে আসেননি। তবু অফিসের আরও কর্মীদের কথা ভেবে আমি বাড়িতে থেকে সমস্ত কাজকর্ম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফের ছয়টি পুরসভায় লডাউনের সময় সূচি পরিবর্তন করল। ঠিক হয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিকেল ৩ টের পরিবর্তে দুপুর ১২ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেও স্কুলে মাধ্যমিকের মার্কশিট বিলি, বিতর্ক তুঙ্গে হুগলির হরিপালে
করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে রামপুরহাটেও। পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও একজন। শহরে তো লকডাউন চলছেই, আলাদা করে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডটিও এক সপ্তাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এলাকাটিকে বাঁশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাছ ও সবজি বাজারও। ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী বলেন, 'করোনা রুখতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বন্ধ হলে সমস্ত দোকান বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক কারনে গোটা ওয়ার্ড অবরুদ্ধ করা ঠিক হয়নি। কিন্তু এখানে বলার কিছু নেই। হিটলার সরকার চলছে রাজ্যে।