রেশন কার্ড বন্ধক রাখা কালিন্দীদের গ্রামে জেলাশাসক, পেনশন থেকে শুরু করে ঘর তৈরির আশ্বাস

Published : Apr 21, 2020, 01:47 PM ISTUpdated : Apr 21, 2020, 01:56 PM IST
রেশন কার্ড বন্ধক রাখা কালিন্দীদের গ্রামে জেলাশাসক, পেনশন থেকে শুরু করে ঘর তৈরির আশ্বাস

সংক্ষিপ্ত

অভাবে এখান ডুকরে ডুকরে কাঁদে  অভাবের তাড়নাতেই এখানে বন্ধকী হয়ে যায় রেশনকার্ড মাস যায়, বছর যায়- তবু ফিরে আসে না সেই রেশনকার্ড অবশেষে বেশকিছু রেশনকার্ড উদ্ধার হয়েছে, আর প্রশাসনও দাড়িয়েছে পাশে

বন্ধক ছিল রেশন কার্ড। এশিয়ানেট নিউজের খবরের জেরে প্রশাসন রাতের অন্ধকারে সেই রেশনকার্ড উদ্ধারও করে। জেলাশাসকের দফতর থেকে এই নিয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল গরিব মানুষগুলোর জন্য লকডাউনে পাশে থাকার। লকডাউনের নিয়ম নন-হটস্পটে একটু শিথিল হতেই এবার একশো দিনের কাজ পেল ঝালদার সরজুমাতু গ্রামের মানুষগুলো। এছাড়াও মিলেছে আবাস যোজনায় ঘর, মহিলাদের জন্য় স্বনির্ভর গোষ্ঠী আর বয়স্কদের জন্য় পেনশনের ঘোষণা। খোদ পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার সরজুমাতু গ্রামে গিয়ে এই ঘোষণা করে এলেন। 

আরও পড়ুন- মাস্ক না পরলেই ধমক, পায়ে হেঁটেই এলাকা দাপালেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক

 পুরুলিয়ার প্রান্তিক গ্রাম সরজুমাতুর কালিন্দী পরিবারের রেশন কার্ড বন্ধক রাখার  খবর প্রকাশিত হয়েছিল এশিয়ানেট নিউজ বাংলায়। আর অভাবে গ্রামের মহাজনদের কাছে রেশন কার্ড বন্ধক রাখার সেই খবরে নড়েচড়ে বসেছিল জেলা প্রশাসন। কারণ, লকডাউনের সময়ে ওই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলোর হাতে রেশন কার্ড না-থাকায় তারা কেউ চাল, ডাল, আটা তুলতে পারেনি রেশন দোকান থেকে। ফলে কার্যত অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছিল তাদের। এশিয়ানেট নিউজ বাংলায় সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সক্রিয় হয় জেলা প্রশাসন। রেশন কার্ড উদ্ধার করে তা ওই পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে অভুক্ত কালিন্দী পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল, ডাল, আটা। 

আরও পড়ুন- লকডাউনের বাজারে পুরুলিয়ায় উদ্ধার বন্য জন্তুর শাবক, চিতা বাঘের বাচ্চা বলে দাবি

এই ঘটনার পর সপ্তাহদুয়েকের ভেতরেই সোমবার খোদ জেলাশাসক গিয়ে হাজির হলেন সরজুমাতু গ্রামে। গিয়ে ঘোষণা করেন একগুচ্ছ প্রকল্প। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার  ওই কালিন্দী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন, মানুষগুলোর খোঁজখবর নেন, তাঁদের সঙ্গে থাকার আশ্বাসও দেন।  

শুধু আশ্বাসই নয়।  কালিন্দী পরিবারগুলোকে  আর্থিক দিক  দিয়ে স্বাবলম্বী করার জন্যা বেশকিছু পরিকল্পনা নিয়েছেন জেলাশাসক। গ্রামের মধ্য়ে খাটিয়ার উপরে বসেই জেলাশাসক জানিয়েছেন,  পরিবারগুলোর পুরুষ ও মহিলারা ষাট বছর পেরোলেই  প্রত্য়োককেই পেনশনের আওতায় আনা হবে। সেইসঙ্গে মহিলাদের একটি  স্বনির্ভর গোষ্ঠীও  গঠন করা হবে।  তাঁদের প্রশিক্ষিত করে অল্প সুদের মাধ্যরমে সরকারি নানা প্রকল্পের সাথে যুক্ত করা হবে।  আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেকটি পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও জানান জেলাশাসক। এছাড়া লকডাউনের সময়ও ওই  পরিবারগুলোতে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে একশোদিনের কাজের প্রকল্পে তাদের যুক্ত করা হবে। 

আরও পড়ুন-এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের, অনাহারে থাকা কালিন্দীরা হাতে পেলেন বন্ধক দেওয়া রেশন কার্ড

PREV
click me!

Recommended Stories

২০ ডিসেম্বর বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, কী কী কর্মসূচি থাকছে? দেখুন কী বলছেন শুভেন্দু
৩৫ বছরের যুবকের সঙ্গে নাবলিকার বিয়ের তোড়জোড়, পরিবারের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে থানায় কনে