জল নিয়ে আতঙ্ক কলকাতায়, কল খুলতেই বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল

উল্টোডাঙার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই বেরিয়ে আসে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল। বিকেলের দিকে জল কিছুটা পরিষ্কার হয়। কিন্তু, পুরোপুরি পরিষ্কার জল পাওয়া যায়নি।

Asianet News Bangla | Published : Oct 4, 2021 2:31 AM IST / Updated: Oct 04 2021, 08:16 AM IST

জল (Water) নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে কলকাতায় (Kolkata)। পুরসভার পানীয় জলে (Drinking Water) এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। জলের কল খুললেই বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল (Dirty water)। উল্টোডাঙা চত্বরে পুরসভার কলের জল না খেতে মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে। উত্তর কলকাতা ও উত্তর পূর্ব কলকাতার একটা বড় এলাকাজুড়ে জলের এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতার পাশাপাশি হুগলিতেও এই একই সমস্যা দেখা দিয়েছে। 

উল্টোডাঙার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই বেরিয়ে আসে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল। বিকেলের দিকে জল কিছুটা পরিষ্কার হয়। কিন্তু, পুরোপুরি পরিষ্কার জল পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- ২০১১-সালের রেকর্ড ভাঙলেন মমতা, তৃতীয়বার ভবানীপুর জয় 'ঘরের মেয়ে'-র

কিন্তু, হঠাৎ করে জলের এই সমস্যা কেন দেখা দিল? এ প্রসঙ্গে কলকাতার পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে জল ছেড়েছে ডিভিসি। আর তার ফলে পলি মিশ্রিত প্রচুর জল গঙ্গায় ঢুকে পড়েছে। কালো রঙের সেই পলি ঢুকে যাওয়ায় গঙ্গার থেকে জল শুদ্ধ করার যে প্লান্ট রয়েছে সেখানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর জেরেই কল খুললে ঘোলা জল পাচ্ছেন স্থানীয়রা। অনেক জায়গায় আবার জলের সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। উত্তরপাড়া থেকে শ্রীরামপুরেও জল ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- 'আমি স্বার্থপর নই' ভবানীপুরে জয়ের পর কেন একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এই ড্যামগুলো থেকে জল ছাড়ার কারণে জলের মান একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছে। খুব কাদা, ঘোলা জল আসছে। নদী থেকে যে পরিমাণ জল আমরা তুলি তা তুলতে পারছি না। সে কারণে জল আমরা দু’ চারদিন কমিয়ে দিচ্ছি, যতদিন না এই পরিস্থিতি ঠিক হয়। এরকম এর আগে কোনওদিনও হয়নি। এই জলের জন্য কেএমডির কয়েকটা প্ল্যান্টও বন্ধ হয়ে রয়েছে। এত কাদা, কতগুলো জায়গায় খুব অল্প জল, একেবারে উপরিভাগ থেকে নিচ্ছি। ক’দিন কলকাতায় জলের প্রেশার কম থাকবে।"

আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে গঙ্গায় ভয়াবহ ভাঙন, নদী গর্ভে তলিয়ে গেল বাড়ি-বাগান-চাষের জমি

কিন্তু, পুরসভার এই যুক্তি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাঁদের মতে, পলতা জলপ্রকল্পে কী ভাবে ডিভিসির জল এসে মিশছে? কেনই বা সেটা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না? এ প্রসঙ্গে পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ডিভিসি জল ছাড়ায় নদীর জলস্তর বেড়েছে। পলতার দিক থেকে গঙ্গায় সেই জল মিশছে। এর ফলে ওই জল পলতা জলপ্রকল্পে ঢুকছে। পরে তা আসছে টালাতে। এরপর সেখান থেকে উত্তর কলকাতা, উত্তর পূর্ব কলকাতার মধ্যে সরবরাহ হচ্ছে। 

Share this article
click me!