মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া-করোনা আবহে নজিরবিহীন ঘটনা নদিয়ায়। কাজ নেই, রোজগার নেই। রেশন কার্ড থাকলেও রেশন পাচ্ছেন তাঁর গোটা পরিবার। সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের দরজায় কড়া নাড়ার পরেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন এক ব্যক্তি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার পানিঘাটাতে। পেশায় দিনমজুর সোহরাব হোসেনের অভিযোগ, পরিবারে পাঁচজন সদস্য। প্রত্য়েকেই তাঁর রোজগারের উপর নীর্ভরশীল। কিন্তু করোনাভাইরাসের থাবায় দীর্ঘদিন কাজ পাচ্ছেন না তিনি। রেশন কার্ড থাকলেও তাঁর পরিবারকে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এবিষয়ে 'দিদিকে বলো'-তেও ফোন করেছিলেন তিনি। শুধু আশ্বাস মিলেছিল। ব্যাস এই টুকুই। দাবি সোহরাব হোসেনের।
আরও পড়ুন-পর্যটকদের জন্য খুলল সুন্দরবন, চলুন এবার পুজোয় দেখে আসি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
হতাশ হয়ে জেলাশাসক, ব্লক আধিকারিক, খাদ্য দফতরের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত অফিসেও বিষয়টি জানিয়ে কিছু লাভ হয়নি। সেইসঙ্গে নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। অসহায় ব্যক্তি সোহরাব হোসেনে বলেন, ''রোজগার নেই, রেশন ছাড়া তো বেঁচে থাকা যায় না, তার চেয়ে আমার মরাই ভাল''।
আরও পড়ুন-পারিবারে অশান্তির মর্মান্তিক পরিণতি, বাঁকুড়ায় ছোট ভাইকে 'পিটিয়ে খুন' করল দাদা
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে নদিয়া জুড়ে। কালীগঞ্জের ব্লক খাদ্য আধিকারিক, দিবাকর সাহা বলেন, ''অভিযোগ পাওয়ার পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে''। কালীগঞ্জের বিডিও নাজির হোসেনের বলেন, ''অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করার কথা বলেছি, আশা করছি সমস্যা খুব দ্রুত মিটে যাবে''। করোনা আবহের মধ্য়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ঘিরে তোড়পাল নদিয়া। টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের।