সরকারি হাসপাতালের নার্স খুনে নয়া মোড়, পুলিশের জালে পলাতক স্বামী

  • নেপথ্যে কি দাম্পত্য কলহ?
  • বাড়িতে নার্সকে 'গুলি করে খুন'
  • অভিযোগের তির মৃতার স্বামীর দিকে
  • অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 24, 2020 12:23 PM IST / Updated: Sep 24 2020, 05:54 PM IST

মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া: সময় লেগে গেল ছ'দিন। নদিয়ার কৃষগঞ্জে সরকারি হাসপাতালের নার্সকে খুনের অভিযোগে অবশেষে পলাতক স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময় ধরা পড়েছে অভিযুক্ত। ধৃতকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

আরও পড়ুন: অনলাইনে কম্পিউটার সারানোর নামে জালিয়াতি, আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ হাওড়ায়

মৃতার নাম স্বপ্না বিশ্বাস। বাড়ি, কৃষ্ণগঞ্জের স্বর্ণখালি গ্রামে। কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালের অধীনে জয়ঘাটা সাব সেন্টারে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলেন স্বপ্না। আচমকাই গুলির শব্দ শোনা যায়। কী ব্যাপার? ঘরে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, স্বপ্না রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মেঝেতে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রোগীকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে  অস্ত্রোপচার চলাকালীন মারা যান ওই নার্স। এরপর নিয়মমাফিক দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। 

আরও পড়ুন: পারিবারে অশান্তির মর্মান্তিক পরিণতি, বাঁকুড়ায় ছোট ভাইকে 'পিটিয়ে খুন' করল দাদা

এদিকে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, স্বামী জয়দেবের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত স্বপ্নার। সরকারি হাসপাতালে নার্সকে গুলি করে খুন করেছে তাঁর স্বামীই! বস্তুত,  ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল জয়দেব। তাতে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে। অভিযুক্তের সন্ধানে শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে ধরা পড়ল সে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে বিহারের সীতামারি এলাকায় চলে যায় জয়দেব। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য চলে আসে মালদহে।  কিন্তু সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকায় সুবিধা করতে পারেনি সে। শেষপর্যন্ত বুধবার রাতে কৃষ্ণগঞ্জের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে যখন বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, তখন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জয়দেবকে ধরে ফেলে পুলিশ।

Share this article
click me!