Nayachar Fishermen Problem: ফের শিরোনামে নয়াচর, প্রশাসনের কাছে কেন 'স্বেচ্ছা মৃত্যু' চাইল মৎস্যজীবীরা

একের পর এক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি নয়াচরের (Nayachar) মৎস্যজীবীদের (Fishermen)। দেনার দায়ে জর্জরিত তারা। পুলিসি (Police) বাধায় নতুন করে মাছ চাষ করতে পারছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসনের (District Administration) কাছে স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন। 
 

Asianet News Bangla | Published : Jan 30, 2022 12:51 AM IST

ফের একবার রাজ্য-রাজনীতির পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচর। বাম আমলে হলদিয়া মহকুমার অন্তর্গত নয়াচরে কেমিক্যাল হাব করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই কেমিক্যাল হাস বাস্তবে রূপান্তরিত হয়নি। সেখানে ফিশিং হাব করার কথা জানিয়েছেন বর্তমানে তৃণমূল সরকার। কিন্তু এবার সেই নয়াচরের মাছ চাষীরাই জেলা প্রশাসনের কাছে জানাল স্বেচ্ছা মৃত্যুর আবেদন। কারণ ব্যাঙ্ক  ও মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ করে মাছ চাষ, একের পর এক ঝড়ে জীবিকীর ব্যাপক ক্ষতি ও মহাজনদের অত্যাচার ওপুনরায় মাছ  চাষ করার প্রক্রিয়া শুরু করলে পুলিসি বাধা। নয়া মাছ চাষীদের এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। আসরে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই।

নয়াচরের প্রায় ৮ হাজার একর জমিতে মৎস্য চাষ হয়। হলদিয়া মহকুমার নন্দীগ্রাম-হলদিয়া সুতাহাটা এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অনেক বাসিন্দারা এখানে এসে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার। মাছ চাষীরা জানিয়েছেন,  কোটি কোটি টাকা মহাজনদের কাছে থেকে লোন নিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মৎস্যচাষী নয়াচর দ্বীপে মাছ চাষ করেছিল। আমফান ও ইয়াস ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় নয়াচরের ভেড়িগুলির। সর্বস্বান্ত হতে হতে চাষীদের। এই সময় ভেড়ির পাড়গুলো বাঁধানো হলে তবে কিছু চাষ করে হয়তো মহাজনদের কিছু টাকা পরিষোধ করা যেতে পারে। তাদের অভিযোগ নিজেদের উদ্যোগে পাড় সংস্কারের কাজ শুরু করা হলেও প্রশাসনের নির্দেশে তা বন্ধ হয়ে যায়। মাছ চাষ শুরু না করতে পারেৃলে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন সেই প্রশ্নও তুলেথেন নয়াচরেরর মৎস্য চাষীরা।  তাই জেলা প্রশাসনের কাছে মাথ চাষ করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন নয়াচরের মাছ চাষীরা  অন্যথায় স্বেচ্ছায় মৃত্যু আবেদন জানিয়েছেন তারা।

এই বিষয়ে লেগেছে রাজনীতির রঙও। একে অপরকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি-তৃণমূল উভয় পক্ষই। এই ঘটনার জন্য শাসক দলেক কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির  তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বলেছেন ,'নয়াচরের এই অবস্থার জন্য দায়ী রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস। অবিলম্বে সরকারে উচিৎ নয়াচরের মৎস্যচাষীদের জন্য সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়া।'ঘটনার বিষয়ে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন,'এত দিন কেন্দ্র সরকারের হাতে ছিল নয়াচরের জমি তাই রাজ্য কিছু করতে পারছিল না। এখন রাজ্যের হাতে জমি তাই আমরা ওইখানে ফিসিং হাব ও ইকো টুরিজিম গড়ে কর্মসংস্থান ব্যাবস্থা করছি। আর ওইখানে কোনও মৎস্যজীবীকে আমার উচ্ছেদ করবো না।ওদেরকে নিয়ে সব কাজ হবে ফলে চিন্তার কারণ নেই।' তবে রাজনৈতিক  তরজা নয় নয়াচরের অসহায় মানুষগুলির দাবি তাদের রুটিরুজির সমস্যাার সুষ্ঠু সমাধান।

Share this article
click me!