করোনা ভাইরাসের (Coronavirus)তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) প্রকোপ। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় স্থগিত হয়ে যাচ্ছে একাধিক বিয়ের (Marriage)অনুষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হবে বিয়ে। তবে চিন্তায় কণে পক্ষ।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) । একের পর এক করোনা ভাইরাস (Coronavirus) অতিমারীর প্রকোপ শুধু মানুষের শরীরে থাবা বসায়নি, থাব বসিয়েছে সর্বস্তরের মানুষের আর্থ-সামাজিক জীবনেও। অর্থনীতিকেই টলিয়ে দিয়েছে এই ক্ষুদ্র ভাইরাস। মানুষের জীবন-জীবকাপ মানের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে এই সময় কালে। এমনকী নতুন জীবন শুরু ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব অতিমারী ভাইরাস। এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়। করোনার বিধি নিষেধ, তারপর আর্থিক টানাপোড়েন এই দুই কারণে বাতিল হওয়ার পথে জেলার একাধিক মধ্যবিত্ত ঘরের বিয়ে (Marriage)। তবে শুধু মুর্শিদাবাদ নয় রাজ্যেপ বিভিন্ন প্রান্তের চিত্রটা একই।
মুর্শিদাবাদের মানিকচক এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক সদাগর হোসেন রীতি মেনে তার কনিষ্ঠ পুত্র রামিজ রাজা ওরফে রাসেলের বিয়ে ঠিক করেছিলেন নশিপুর বাসিন্দা লাবণি খাতুনের সঙ্গে। দিনক্ষণ অনুযায়ী সামনে তাদের বিয়ে। একই ভাবে ইসলামপুরের সাগরিকা বিবি তার পুত্র তৌফিক হাসানের বিয়ের দিনও ধার্য করেছিলেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ।পাত্রী দরবেশ পাড়ার সিমি খাতুন । মোহাম্মদপুরের রুহিমারি র বাসিন্দা আসিফ ইকবাল সঙ্গে সামনে সপ্তাহে বিয়ে হওয়ার কথা রামচাদ মাটি গ্রামের হাফিজা খাতুনের । বিয়ের নিমন্ত্রন পত্র বিলি করা তো বটেই ,প্যান্ডেল বাঁধার কাজও শেষ। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ , সরকারি বিধিনিষেধ এই সবের কারণে বিয়ে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাধিক পরিবার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের আলোচনা সাপেক্ষে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে শিক্ষক সদাগর হোসেন বলেন , “বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আমরা বিয়ের সমস্ত আয়োজন পাকা করেও তা বানচাল করতে বাধ্য হচ্ছি । তবে সব কিছু উভয় পক্ষ বসেই ঠিক করেছি ।” অপরদিকে তৌফিকের বাবা সেকেন্দার হোসেন বলেন ,"কয়েকদিন বাদেই ছেলের বিয়ে ।তাই আত্মিয় স্বজন বাড়িতে চলে এসেছিলেন ।কিন্তু কি আর করার আছে ।বিয়ের দিন এখন পিছাতেই হবে ।"
এক দিকে ভাইরাস আতঙ্ক অন্যদিকে সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে এই মরশুমে বিয়ে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মুর্শিদাবাদের উত্তর থেকে দক্ষিণ একাধিক অভিভাবক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মেয়ের বাবাদের। একবার মেয়েপ বিয়ে ঠিক হওয়ার পর ভেঙে গেলে, গ্রাম গঞ্জে মেয়ের ফের বিয়ে ঠিক করতে গেলে বড়সড় সমস্য়ায় পড়তে না হয় সেই কথাই ভাবাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। পরবর্তিতে পাত্র পক্ষ যদি বিয়ে করতে অস্বীকার করে তাহলে কী হবে, সেই কথাই ভাবাচ্ছে কণে পক্ষদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে সব কিছুই ভালোয় ভালোয় মিটে যাক এই আশাই করছেন সকলে।