স্বামীর বয়স নব্বই পেরিয়ে গিয়েছে, আর স্ত্রী ষাটের কোটায়। উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগরে নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন এক প্রবীণ দম্পতি। বাড়ি থেকে দু'জনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
অশোনগরের দিঘরা মালিকবেড়িয়া পঞ্চায়েতে হাট ন'পাড়া এলাকায় থাকতেন মদন নন্দী ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই দম্পতির এক ছেলেও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের বিয়ে করেছিলেন মদন। প্রথমপক্ষে দুই ছেলে ও মেয়ে। তাঁরা সকলেই কলকাতায় থাকেন। অশোকনগরে দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী ও ছেলে দীপঙ্করের সঙ্গে থাকতেন ওই বৃদ্ধ। প্রথমপক্ষের ছেলেমেয়েরা মাঝে-মধ্যে বাবার কাছে আসতেন। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন দীপঙ্কর। সেখান থেকে ফিরে স্থানীয় ক্লাবে ভলিবল খেলছিলেন তিনি। ক্লাব থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের তাঁর বাবা ও মা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশী ও স্থানীয় ক্লাবের সদস্য়দের খবর দেন দীপঙ্কর। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে অশোকনগর থানার পুলিশ। বাড়ি লাগোয়া আমবাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে মদের বোতল ও গ্লাস।
আরও পড়ুন:ঘন কুয়াশায় ফের দুর্ঘটনা, ঝাড়গ্রামে উল্টে গেল পুলিশের বাস
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, যে এলাকায় থাকতেন মদন নন্দী ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা, সেই এলাকাটি বেশ নির্জন। বাড়ি লাগোয়া আমবাগানে নিয়মিত মদের আসর বসায় দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। কিন্তু ভয়ে কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পান না। তাহলে কি দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হল মদন নন্দী ও তাঁর স্ত্রী অর্চনাকে? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, প্রথমপক্ষের ছেলের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল ওই বৃদ্ধের। বাড়িতে এসে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে গিয়েছিলেন ছেলে ও ছেলের বউ।