বিদ্যুৎকর্মীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য, 'বিদ্যুৎপিষ্ট' নাকি অন্য কারণ, তদন্তে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ

  • অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ফলতার বাসিন্দার
  • হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা 
  • মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ 
  •  গভীর আঘাতের জেরেই সনতের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান 
     

Asianet News Bangla | Published : Feb 10, 2021 12:13 PM IST

 বিষ্ণুপুরের পৈলানে নির্মীয়মান সরকারি ভবনের কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে দোতলা ছাদের বাঁশের ভারা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু ইলেকট্রিশিয়ানের।  দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানা এলাকার পৈলানে।  তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনা ফলতা থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় উল্কুনী এলাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন, 'রথে লোক না হওয়ায় চলে গিয়েছেন নাড্ডা', খড়গপুরের খোঁচার উত্তর আজই দিলেন অনুব্রত 

 
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর ছাব্বিশের সনৎ প্রামাণিক পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।  মঙ্গলবার রাতে একটি সরকারি নির্মীয়মান ভবনে লাইটের সমস্যার থাকায় অনলাইনেই বিদ্যুতের কাজ করছিলেন সনৎ। মঙ্গলবার রাত প্রায় ন'টা নাগাদ দোতলা সমান উচ্চতার বাঁশের ভারা থেকে অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে পড়ে যান তিনি। এরপরই তার সহকর্মীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানেই সনৎকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সনতের পরিবারের দাবি, এত রাতেও দোতলা সমান উচ্চতায় কাজের সময় কোন রকম সেফটি বেল্ট, হেলমেট ও সেফটি হ্যান্ড গ্লাভস ছিল না। এইসব সেফটি উপকরণ পরে থাকলে ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে কাজ করলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন পরিবারের লোকজন।

আরও পড়ুন, 'বাংলায় এবার পদ্ম চাষ হবেই', খড়গপুরে 'পিসি-ভাইপো'কে নিশানায় রাখলেন নাড্ডা  

ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গিয়ে মাথার ভেতরে গভীর আঘাতের জেরেই সনতের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান হাসপাতালের চিকিৎসকের।

Share this article
click me!