৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও দাঁতালের দাপাদাপি দেখতে পাওয়া গেল। গতরাতে দেখা যায় জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক থেকে চালের বস্তা বের করে চাল খাচ্ছে একটি হাতি। শুধু তাই নয়, সড়কের ওপরে আসতে যেতে প্রায় প্রতি গাড়িকেই আটকে খুঁজছে খাবার।
শীত পড়তেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়শই লোকালয়ে ঢুকে পরে দাঁতালের দল। এবারেও তার অন্যথা হচ্ছে না। গত মাসেই বর্ধমানের বিস্তৃ্র্ণ অঞ্চলে হানা দেয় একপাল হাতি। ক্ষতি হয় প্রচুর ফসলের। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও একই অবস্থা। এমতাবস্থায় এবার ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও(National Highway 6) দাঁতালের দাপাদাপি দেখতে পাওয়া গেল। গতরাতে দেখা যায় জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক থেকে চালের বস্তা বের করে চাল খাচ্ছে একটি হাতি(Elephant)। শুধু তাই নয়, সড়কের ওপরে আসতে যেতে প্রায় প্রতি গাড়িকেই আটকে খুঁজছে খাবার। এদিন এমনিই চিত্র দেখা গেল ঝাড়গ্রাম জেলার লোধাশুলিতে(Lodhashuli of Jhargram district)।
এদিকে শনিবার রাত থেকেই এই দাঁতালের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর মেলে এলাকায় ঢুকে পড়েছএ একটি পূর্ণ বয়ষ্ক হাতি। আর তারপর থেকেই আতঙ্কে প্রহর কাটাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে দেখা যায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেই দেখা মেলে দাঁতালটির। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের লোধাশুলি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত্রি প্রায় ৯ টা নাগাদ একটি দাঁতাল হাতি ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির বিভিন্ন রাস্তা পার করে পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের কাছে যায়। তারপর সেখান থেকে সটান চলে যায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে। সেখানে গিয়ে শুরু করে দাপাদাপি। লোধাশুলির কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক থেকে চালের বস্তা বের করে খেতেও দেখা যায় তাকে। যার জেরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য। হাতির হানার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় বন বিভাগের কর্মীরা। পরে বনকর্মী ও এলাকাবাসীদের সহযোগীতায় হাতিটিকে জঙ্গলের দিকে ফেরানো হয়।
আরও পড়ুন-কাঁচা বাদাম গেয়ে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ, মাথা ফাটল লিলুয়ার যুবকের
এদিকে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। তবে ঝাড়গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাতির হানা নতুন নয়। প্রতিবছরই যে এই অঞ্চলে প্রায়শই হাতির পালের দেখা মেলে। মূলত খাবারের খোঁজে তারা জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বলে জানাচ্ছেন বন দপ্তরের কর্মীরা। তবে এবছর শীত এখনও অনেকটাই বাকি। তারমধ্যে যদি এই ভাবে বারেবারেই হানা দেয় দাঁতালের পাল তাহলে জমির ফসল থেকে লোকালয়ের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেকথা বন দপ্তরের কর্মীদের জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনকী জঙ্গল থেকে হাতির আগমন ঠেকাতে যাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে স্থানীয়দের তরফে।