মদন মিত্র প্রবীর ঘোষালের প্রশংসাও করে ছিলেন। সেদিন মদন মিত্রের সেই প্রশংসা যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোভাবে নেননি তা এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন।
ফের আক্রমণাত্ম মেজাজে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। কোন্নগর বই মেলায় (Konnagar Book Fair) এসে প্রবীর ঘোষালকে (Probir Ghoshal) বেইমান বলে আক্রমণ। শনিবার কোন্নগর বইমেলায় এসে নাম না করে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা প্রবীল ঘোষালকে নিশানা করেন। তিনি বলেন 'ভাগ্যিস গত সপ্তাহে আসিনি, না হলে বেইমানেপ সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতে হব। ভাবগান আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। আমি ওইসব নাটক সিনেমা করি না। যাঁদের নাটক সিনেমা করার ইচ্ছে তাঁরা নাটক করুক। '
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য চলতি মাসের ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে কোন্নগর বইমেলা। চলবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বইমেলা উপলক্ষ্যে শিল্পী, সাহিত্যিক রাজনীতিবিদদের ভিড় লেগেই রয়েছে। এই বইমেলাতে গত সপ্তাহে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। সেই দিন তাঁর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছিলেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন বিধায়ক তথা স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীল ঘোষাল। মদন মিত্র প্রবীর ঘোষালের প্রশংসাও করে ছিলেন। সেদিন মদন মিত্রের সেই প্রশংসা যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভালোভাবে নেননি তা এদিন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দেন। নাম না করেই নিশানা করেন প্রবীর ঘোষালকে। প্রবীর ঘোষালের নাম না করেও তিনি নিশানা করেন তাঁকে।
প্রবীর ঘোষাল তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি দল বদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। উত্তরপাড়া কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।কিন্তু তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের কাছে গোহারান হেরে যান। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-তে একটি প্রবন্ধে বিজেপির তীব্র সমালোচনাও করেছেন।
অন্যদিকে কল্যাণ এদিন প্রবীল ঘোষালের পাশাপাশি নিশানা করেন দলীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককেও। তিনি বলেন 'উত্তরপাড়ার কিছু মহিলা আমাকে বলেছেন তৃণমূলের বিধায়ক একে ওকে ডাকছে এই রূপালি, এই রুপসী বলে। এসব কী হচ্ছে?' এই প্রশ্নও তিনি তোলেন। তারপরই বলেন যাঁরা সিনেমা করার তারা সিনেমা করুক। রাজনীতিটা সিরিয়াস জায়গা, কোনও ইয়ার্কির জায়গা নয়। তাঁদের দল একটি মানসিকতা নিয়ে চলেও বলেও তিনি সতর্ক করে দেন।
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে আক্রমণ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যাগয়কেও। তিনি রাজীবের দলে ফেরা নিয়েও প্রচ্ছন্ন আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে রাজীব দলে ফিরলেও তিনি যে তাও খুব একটা ভালোভাবে নিয়েছেন তেমনটা নয়। তাই প্রবীল ঘোষালের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তিনি। তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আসানসোলে চলন্ত ট্রাকে আগুন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় রাস্তা দিয়ে ছুটলেন ট্রাকের চালক
COVID Third Wave: নতুন বছরে ওমিক্রনের হাত ধরেই ভারতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গে, ছবি তুলে ধরলেন বিশেষজ্ঞ
'হিন্দুত্ববাদীদের জন্য কষ্ট পাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ', আমেঠি থেকে বিজেপিকে নিশানা রাহুল গান্ধীর