ফের অঙ্গদান। আবারও নজির গড়ল কলকাতা। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচমন্দির এলাকার বাসিন্দা সংগ্রাম ভট্টাচার্য। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকদের চেষ্টার পরেও সাড়া দেয়নি সংগ্রাম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্রেন ডেথ হয় সংগ্রামের। ৩১ বছরের তরতাজা ছেলের মৃত্য়ুতেও ভেঙে পড়েনি তাঁর বাবা-মা। সংগ্রামের মৃত্য়ুর পরেও এই সমাজে নতুন পথ খুঁজে দিলেন তাঁরা। চিকিৎসক ও পরিজনদের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অন্য়ের শরীরে বেঁচে থাকুক সংগ্রাম। এখন এটাই চাইছেন পথ দুর্ঘটনায় মৃত সংগ্রামের বাবা-মা।
আরও পড়ুন- কে চালাচ্ছে নজরদারি, রাজ্যপালের সঙ্গে 'তাল কাটল' মুকুলের
পেশায় মেডিক্য়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ ছিল ভাটপাড়ার বাসিন্দা সংগ্রাম ভট্টাচার্য। শুক্রবার বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে নদিয়ার জাগুলিয়া এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিল সে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল সংগ্রামকে। চিকিৎসায় সাড়া না দিয়ে ব্রেন ডেথ হয়। এরপরই চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।
আরও পড়ুন-'বিজেপি করায়' সারা শরীরে কামড়,বর্ধমানে কাঠগড়ায় তৃণমূল
সংগ্রামের হার্ট, কিডনি, লিভার, চোখ, স্কিন দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। মৃত সংগ্রামের পরিজনরা জানিয়েছেন, সংগ্রামের ইচ্ছে ছিল মৃত্য়ুর পর তাঁর শরীর যেন দাহ না করা হয়। বেঁচে থাকতেই অঙ্গদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল সংগ্রাম। অকাল মৃত্য়ুর পর সংগ্রামের শেষ ইচ্ছের মর্যাদা দিল তাঁর পরিবার। সংগ্রাম বেঁচে না থাকলেও তাঁর দান করা অঙ্গ বেঁচে থাকবে অন্য়ের শরীরে। বেঁচে থাকবে সংগ্রামও। বললেন, সংগ্রামের বাবা সুশীল ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন-মাঠে পাঁচিল দেওয়ার কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড, ভাঙচুর চলল বিশ্বভারতীতে
আরও পড়ুন-'পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী হবে', মাথা মুড়িয়ে যজ্ঞ বিজেপি সাংসদের