কে চালাচ্ছে নজরদারি, রাজ্যপালের সঙ্গে 'তাল কাটল' মুকুলের
- রাজ্য়পালের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেন মুকুল রায়
- রাজভবনে নজরদারি চালাচ্ছে কেউ, তথ্য় পাচারের দাবি
- গুরুতর অভিযোগ আনেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়
- দোষীদের ধরতে রাজ্য়পালের ভিন্ন পথে হাঁটলেন মুকুল
সম্প্রতি রাজভবনের কথা রাজ্য় সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ আনেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। দোষীদের ধরতে বিভাগীয় তদন্তের কথা উল্লেখ করেন তিনি। যদিও তদন্তের বিষয়ে রাজ্য়পালের পথে হাঁটলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা।
শনিবার স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্রে রাজভবনে মুখ্য়মন্ত্রী না আসায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য়পাল। ধনখড় বলেন, কোনওদিন কোনও রাজ্যে এই ঘটনা ঘটেনি। যেখানে রাজ্যপাল-এর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। এটা শুধু গণতন্ত্র বিরোধী নয়, এটা দেশের আইন ব্য়বস্থাকে অমান্য করা। সব সময় কেন্দ্রীয় সরকারের এর সঙ্গে দন্দ্ব করলে গণতন্ত্র রক্ষা কীভাবে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে হবে।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি রাজ্যপাল। পাল্টা তিনি দাবি করেন, রাজভবনের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। অনেক কথা রাজ্য় সরকারের কাছে চলে যাচ্ছে। যারা এই কাজ করছে,তাদেরকে শীঘ্রই খুঁজে বের করা হবে। যাদের নাম তদন্তে উঠে আসবে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও গোপন তথ্য় রাজভবনে চলে এলেও আমি সতর্ক করতাম।
এদিন রাজ্য়পালের এই মন্তব্য় নিয়ে মুখ খোলেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। রাজ্য়পাল বিভাগীয় তদন্ত করতেই পারেন, তবে এর একটা পূর্ণাঙ্গ বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত। কীভাবে রাজভবন থেকে নথি পাচার হতে পারে। এদিকে বিজেপি নেতার মুখে যখন এই কথা, তখন পাল্টা রাজ্য়পালকে নজরদারি প্রসঙ্গে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। টুইটারে তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেছেন,আঙ্কেলজি এখন বলছেন রাজভবন ও তাঁর উপরে নজরদারি করা হচ্ছে। ওই জিনিসটা আপনার গুজরাতের বস সকলের থেকে ভালো জানেন। আমরা এ কাজে নিতান্তই শিক্ষানবীশ।