বিয়েতে 'আপত্তি', শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ে 'তুলে নিয়ে গেলেন' বাপের বাড়ির লোকেরা

  • বাড়ির অমতে ভালোবেসে বিয়ে
  • শ্বশুরবাড়ি থেকে তরুণীকে 'অপহরণ'
  • অভিযোগের তির বাপের বাড়ির দিকে
  • বাঁকুড়ার ওন্দার ঘটনা

Asianet News Bangla | Published : Aug 3, 2020 5:24 PM IST / Updated: Aug 03 2020, 11:11 PM IST

বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন ভালোবেসে। শ্বশুরবাড়ির লোককে মারধর করে মেয়ে তুলে নিয়ে গেলেন বাপের বাড়ির লোকেরা! শেষপর্যন্ত তাঁদের অবশ্য ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ওন্দায়।

আরও পড়ুন: 'মুখ্যমন্ত্রীকে ঘরে লকডাউন করে রাখবেন মানুষ', হুঁশিয়ারি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ঘটনাটি ঠিক কী? বাঁকুড়ার সদর থানার জগদল্লা  গ্রামে বাড়ি রূপা মণ্ডলের। রাজু লাই নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাঁর। রাজু ওন্দা থানারই ধবনী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রের খবর, যথেষ্ট অবস্থাপন্ন পরিবারের মেয়ে রূপা। বাবা নিরঞ্জন মণ্ডল পেশায় ব্যবসায়ী।  অপেক্ষকৃত গরিব ঘরের ছেলের সঙ্গে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেননি তিনি। বাড়ি অমতে পালিয়ে গিয়ে ২৮ জুলাই নিজের পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করে নেন রূপা। ঘটনাটি জানার পর নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি  থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন বাপের বাড়ি লোকেরা। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। বরং স্বামী রাজুর সঙ্গে সুখেই সংসার করছিলেন ওই তরুণী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার ভরদুপুরে একদল দুষ্কৃতী সঙ্গে নিয়ে ধবনী গ্রামে রাজুর বাড়িতে চড়াও হয় রূপার বাড়ির লোকেরা। শ্বশুরবাড়ি লোকেদের মারধর করে মেয়ে তুলে নিয়ে চলে যান তাঁরা। এমনকী, বাধা দিলে প্রতিবেশীদের রেয়াত করা হয়নি। গুরুতর জখম হন রূপার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোক ও কয়েকজন প্রতিবেশী। যারা রূপাকে তুলে নিয়ে যেতে এসেছিলেন, তাঁদের বেশ কয়েকজন অবশ্য শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে যান গ্রামবাসীদের হাতেই।  ওই তরুণীকে নিয়ে বাকিরা তখন চম্পট দিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা প্রবল, অতি ভারি বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ওন্দা থানার পুলিশ। সন্ধ্যায় পর জগদল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় রূপা মণ্ডলকে। রাতে থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই তরুণীর শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। বাবা, দাদা-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বাপের বাড়ির ১১ জনকে। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোককে মারধর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃতেরা।

Share this article
click me!