নিউ ব্যারাকপুরের মা-মেয়ে হত্যাকাণ্ডে উঠে এল নয়া তথ্য। পরিবারের লোকেরাই জানালেন, মায়ের বিলাসবহুল জীবনযাপনের 'বিষ' ঢুকে গিয়েছিল মেয়ের মধ্য়ে। ফলে রমা দেখানা পথই অনুসরণ করছিল কৌশাণী। যার ফল হল ভয়াবহ।
রাতবিরেতে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি কর্মীদের, দলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা
সম্প্রতি রমা-কৌশানী ওরফে রিয়ার অর্দ্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে হলদিয়ায় হুগলি নদীর পাড়ে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে শেখ সাদ্দাম ও শেখ মনজুর আলি মল্লিক নামে দুই যুবক। তবে পুলিশের তথ্য হতবাক হয়েছেন অনেকেই। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ফেসবুকে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করত মা-মেয়ে। পরে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পুঁজি করে চলত ব্ল্যাকমেল। সাদ্দামের ক্ষেত্রেও তেমনই করা হয়েছিল। যার পরিণতিতেই মা-মেয়েকে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
শিবের দয়া, নিমগাছ থেকে বের হচ্ছে 'দুধ', গ্রামজুড়ে শোরগোল
এদিকে, বোন ও ভাগ্নীর মর্মান্তিক মৃত্যু মানতে পারছেন পরিবার। যদিও রমার জন্যই যে মেয়ের এই করুণ পরিণতি তা বিলক্ষণ বুঝেছেন তাঁরাও। এই জোড়া খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মুম্বই থেকে বাপের বাড়ির এলাকা, নিউ ব্যারাকপুরেই ঘর ভাড়া নেয় রমা। মেয়েকে নিয়ে শুরু করে জীবনযাবন। রমার বাবা-মা দু’জনেই মারা গিয়েছেন। তিন ভাই বোনের সংসারে বরাবরই বিলাসিতা পছন্দ করতেন রমা।
দিল্লির হিংসার আঁচ কলকাতায়, সব থানাকে সতর্ক করলেন সিপি
রমার এক বৌদি জানান, বিচ্ছেদের পর থেকে বদলে যায় রমার জীবনযাপন। আত্মীয়দের সঙ্গে তেমন সম্পর্ক ছিল না। তবে অল্পবয়স থেকেই উদ্দাম জীবনযাপন করতেন রমা। মেয়েকেও গড়েছিলেন নিজের মতো করে। এ সবের জেরেই স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় রমার। তবে তিনি নিজের জীবনযাপন বদলাননি। খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, দেখতে সুন্দর, ইংরেজি-হিন্দিতে সাবলীল কথা বলতে পারার কারণে মা-মেয়ে দু জনেই চোখে পড়ত সবার।
নিজেরাও সেই বিষয়টা উপলব্ধি করত তারা। ফেসবুকে নানা নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ধনীদের সঙ্গে আলাপ জমাতে দুজনেই ছিল পটু। উদ্দেশ্য থাকত একটাই যেন তেন প্রকারে টাকা আদায়। সেই সূত্রেই মা-মেয়ের আলাপ হয়েছিল হলদিয়ার শেখ সাদ্দামের সঙ্গে। হলদিয়া ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেও শুরু করেছিলেন মা-মেয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় সাদ্দামও জানিয়েছে এই ব্ল্যাকমেলের কথা। পরে আর দুজনকে সহ্য করতে পারেনি সাদ্দাম। মা মেয়েকে হত্যা করেই নেওয়া হয় প্রতিশোধ।