সংক্ষিপ্ত
- পুরুলিয়ার একটি গ্রামে শিবরাত্রি থেকে শোরগোল
- সেখানে একটি নিমগাছে ডালে শিবের ছবি বেঁধে চলছে দুধ সংগ্রহ
- আসলে গাছের ডাল থেকে সাদা-সাদা তরল বেরোচ্ছে
- আর তাকেই দুধ বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা
মাসি গো মাসি পাচ্ছে হাসি, নিমগাছেতে দিচ্ছে দুধ!
২৫ বছর আগে গোটা দেশজুড়ে গণেশ-মূর্তি খেয়েছিল দুধ। আর আজ, এ-দেশেরই কোনও এক গ্রামে নিমগাছ দিল দুধ। তা-ও আবার শিবরাত্রিতে!
পুরুলিয়ার নেতুড়িয়া থানার রায়বাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুলুঙ্গা গ্রাম। গ্রামের মধ্য়ে এক মাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছে এক নিমগাছ। সেই গাছের ডালে বাঁধা শিবঠাকুরের ফটো। সেই সঙ্গে একটা চোঙাকৃতি অ্য়ালুমিনিয়ামের পাত্র। ওই পাত্রেই নাকি পড়ছে দুধ,গাছের ডাল থেকে, চুঁইয়ে চুঁইয়ে। একেবারে শিবের দয়ায়।
আসলে শিবরাত্রির দিন গ্রামের মধ্য়ে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। ওই নিমগাছের ডাল থেকে সাদা রঙের কী যেন কী একটা পড়তে থাকে। তা চোখে পড়ে জনৈক গ্রামবাসীর। ব্য়স। তার পর থেকেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্য়ে রটে যায়, শিবের কৃপায় তাহলে নিমগাছ থেকে দুধ বেরুচ্ছে!
ব্য়স। এবার ওই গাছ থেকে 'দুধ' নেওয়ার জন্য় রীতিমতো হিড়িক পড়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্য়ে। গাছের ডালে একটি শিবের ফ্রেমওয়ালা ছবি বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর অ্য়ালুমিনিয়ামের পাত্র বেঁধে দিয়ে গাছ থেকে 'দুধ' সংগ্রহ করা শুরু করা হয়।
এখন পর্যন্ত এই ঘটনার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য় ব্য়াখ্য়া পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানকর্মীরা মনে করছেন, গাছ থেকে দুধ বেরোনো একপ্রকার অসম্ভব। তাঁদের বক্তব্য়, একমাত্র উদ্ভিতবিদরাই বলতে পারবেন কেন এমন হচ্ছে। হতে পারে গাছের কোনও অসুখ করেছে আর তার থেকেই ডাল থেকে সাদা তরল নির্গত হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন একটাই, যদি গাছের বর্জ্য়কে দুধ ভেবে খেতে শুরু করেন গ্রামের মানুষ, তাহলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন না সবাই?