অভিযোগ, মেয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারেন বাবা। এমনকী, তাঁর হাত থেকে রেহাই পাননি জামাইও। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানা এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া গোপালগঞ্জে।
প্রথম বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। তাই ৯ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই ফিরে এসেছিলেন যুবতী। আর সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এলাকারই এক যুবকের। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সেখান থেকেই একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁদের সম্পর্ক কেউ নেননি। তাই বাড়িতে কাউকে কিছু না বলেই ওই যুবককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন যুবতী। তারপর সোজা ওই যুবককে বিয়ে করেন তিনি। আবার স্বামীকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই ফেরেন তিনি। কিন্তু, বাড়িতে ফেরার পরই আক্রান্ত হন তাঁরা। আর সেই আক্রমণকারী হলেন খোদ যুবতীর বাবা! অভিযোগ, মেয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারেন তিনি। এমনকী, তাঁর হাত থেকে রেহাই পাননি জামাইও। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ থানা এলাকার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়া গোপালগঞ্জে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবদম্পতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা অরুণ সরকারের মেয়ে জিনিয়া মিস্ত্রি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর প্রথমপক্ষের বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। এরপর তিনি দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ভালোলাগার মানুষটিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু, মেয়ের দ্বিতীয়বার বিয়ে নিয়ে ঘোরতর আপত্তি ছিল বাবার। কিন্তু, বাবার কথা মানতে পারেনি সে। তাই বাড়ির অমতে গিয়েই বিয়ে করেন জিনিয়া। এরপর স্বামীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে সেকথা জানতে পারার পরই রেগে যান অরুণ সরকার। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময়ই রাগের চোটে মেয়ের মাথায় দায়ের কোপ বসিয়ে দেন। তাঁর হাত থেকে রেহাই পাননি জামাইও। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন- হাঁসখালিকাণ্ডের এফআইআরে উঠল নির্যাতিতার বাবা ও দাদার নাম, চাঞ্চল্যকর খবর জানাল সিবিআই
দায়ের কোপ বসানোর পরই আর্তনাদ করেন জিনিয়া ও তাঁর স্বামী। তাঁদের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় নবদম্পতিকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। এই ঘটনার পরই থানায় অরুণ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবা। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, স্বামী শ্রীঘরে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইনে নৃত্যশিল্পী, দিতে হল বড় মাশুল
জিনিয়া বলেন, "বাবার কীসে এত রাগ হল বুঝলাম না। বলল এলাকার ছেলেকে বিয়ে করলি? তারপরই দা দিয়ে আমার মাথায় কোপ বসাল। আর আমার স্বামীর শরীরে আঘাত করেছে।"
আরও পড়ুন- যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার