সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালি এফআইআর-এ নির্যাতিতার বাবা এবং দাদার নাম রয়েছে জানালো সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এহেন খবর পেয়ে হতবাক মৃতার মা।
হাঁসখালি এফআইআর-এ নির্যাতিতার বাবা এবং দাদার নাম রয়েছে জানালো সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে এহেন খবর পেয়ে হতবাক মৃতার মা। যদিও এক পুলিশ কর্তার দাবি, মায়ের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এফআইআর-এ ওই দুই জনের নাম রয়েছে। এদিকে বাইশ সালে পা দিয়েই একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। কোথাও ধর্ষণ করে খুন, কোথাও ধর্ষণ করে মৃতদেহ দাহও করে দেওয়া হচ্ছে। মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এমনিতেই উত্তাল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম-বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। তবে সবচেয়ে নৃশংশ ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালিতে বলে দাবি রাজ্যবাসীর।
মূলত, হাঁসখালিকাণ্ডের শিকড়ে পৌঁছতে জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। চলছে এরই সঙ্গে বয়ান রেকর্ড। সোমবার নির্যাতিতার মা-কে বয়ান রেকর্ডের জন্য ডেকে পাঠান তদন্তকারীরা। সেইসময় সিবিআই আধিকারিকরা মৃতার মাকে প্রশ্ন করেন, এফআইআর-এ তার স্বামী এবং ভাসুরপো অর্থাৎ মৃতার বাবা এবং এক তুতো দাদার নাম রয়েছে, বিষয়টি তিনি জানেন কিনা। বিষয় জানার পর অবাক হয়ে যান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার মা। প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন, স্বামী শ্রীঘরে, বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে লিভ ইনে নৃত্যশিল্পী, দিতে হল বড় মাশুল
এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি। তবে সত্য কখনও চাপা থাকে না। ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তবে ইতিমধ্য়েই এই ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে পেয়ে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য