লকডাউনে দুর্ভোগের ইতি, শবর গ্রামে ত্রাণ নিয়ে হাজির জেলা পরিষদের সভাধিপতি

  • লকডাউনে চরম দুর্ভোগ
  • রেশনের চালে পেট ভরাচ্ছিলেন শবররা
  • অবশেষে টনক নড়ল  প্রশাসনের
  • ত্রাণ বিলি করলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি

Asianet News Bangla | Published : May 16, 2020 1:03 PM IST

এশিয়ানেট নিউজ বাংলার খবরের জের। লকডাউনের বাজারে শেষপর্যন্ত ত্রাণ পেলেন জঙ্গলমহলের শবররাও।  প্রত্যন্ত গ্রামে গিয়ে ত্রাণ বিলি করলেন খোদ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। 

আরও পড়ুন: লকডাউন কাড়ল প্রাণ, উত্তরপ্রদেশে পথ দুর্ঘটনায় নিহত রাজ্যের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক

বাঁকুড়ার রানিবাঁধে ব্লকের জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রাম কাঠিয়াম। গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই শবর সম্প্রদায়ের। জঙ্গলের শুকনো কাঠ ও পাতার তৈরি থালা বিক্রি করে সংসার চলে বেশিরভাগ পরিবারের। বাড়তি রোজগারের আশায় চাষের মরশুমে অন্যের জমিতে দিনমজুরি করেন, এমন পরিবারও আছে দু'একটা। যৎসামান্য রোজগারে কোনওমতে সংসার চলে যায়, কিন্তু অভাব মেটে না। লকডাউনের বাজারে সেটুকু রোজগারও হারিয়ে চরম সংকটে পড়েছে শরব পরিবারগুলি। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অনাহারে দিন কাটলেও আশ্চর্যের কিছু ছিল না। নেহাত রেশন থেকে চাল পাওয়া যাচ্ছে, তাই রক্ষে! শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হয় এশিয়ানেট নিউজ বাংলায়। ফলও মিলল হাতেনাতে। 

আরও পড়ুন: একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৪২ জন, প্রশাসনের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিল হাওড়ার বস্তি

আরও পড়ুন: পিতৃশোকেও কর্তব্যে অবিচল, শ্রাদ্ধে দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী বিলি জনপ্রতিনিধির

শনিবার রানিবাঁধের কাঠিয়াম গ্রামে যান বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মর্মু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক-সহ অন্যন্য জনপ্রতিনিধিরাও। গরিব অসহায় পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় চাল, ডাল-সহ অন্যন্য খাদ্যাসামগ্রী। জেলায় একশো দিনের প্রকল্পে  কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের  সভাধিপতি। 

Share this article
click me!