অ্যাপের আড়ালে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণা, পুলিশের দ্বারস্থ আমতলার ১২০০ বাসিন্দা

নামী কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপের মধ্য দিয়ে প্রতারণা।  প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে অসহায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েক হাজার মানুষ।

Web Desk - ANB | Published : Jan 20, 2022 3:28 PM IST / Updated: Jan 21 2022, 02:39 PM IST

অ্যাপের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদে (Fraud Case) পা দিয়ে সর্বস্ব হারাল জেলার বাসিন্দারা। ডিজিটাল ইণ্ডিয়ান মাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়ে নামী কোম্পানীর নাম ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপের মধ্য দিয়ে প্রতারণা। ওই প্রতারণার ছক বানিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাপিস করেছে প্রতারকরা। প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হারিয়ে অসহায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কয়েক হাজার মানুষ ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অধীনস্থ আমতলার এলাকার ১২০০ মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইনটারগ্রাফইন কোম্পানির নামে একটি মোবাইল অ্যাপ মাধ্যমে জেলায় ৪ হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছে। যারা প্রতারিত হয়েছে তাঁরা জানাচ্ছেন যে স্মার্ট ফোনের 'প্লেস্টোরে' গিয়ে এই অ্যাপটি পাওয়া যাবে না। এটি কারও লিঙ্ক আপ থাকলে সে যদি কাউকে শেয়ার করে, তারপর লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করলে অ্যাপটি খুলে যাবে। এবং এখানে প্রথমে ছোট অঙ্কের টাকা জমা করতে বলা হয়। যেমন ৯৮০ টাকা দিয়ে জয়েন করতে হবে। এই ভাবে উংসাহিত করা হবে। আর তারপরেই শুরু হবে আসল খেলা। তারপর ১ হাজার, ৫ হাজার, ১০ হাজার এবং তারপর ১ লক্ষ টাকা দিলে প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা দেবে। প্রথমে ছোট অঙ্কের টাকা দিয়ে প্রলোভন এবং পরে বড় অঙ্কের টাকা জমা করতে বলা হবে। ফোন পে, গুগল পে, হোয়াটস অ্যাপ পে-র মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। এইভাবেই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে মানুষ জনকে প্রভাবিত করে প্রতারণা চালায় প্রতারকেরা।

আরও পড়ুন, জলপাইগুড়িতে ৪৭ কেজি ওজনের প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার করল বন দফতর, ধৃত পঞ্জাব ও হরিয়ানার বাসিন্দা

প্রতারিতরা জানায় যে, ঠিক এইভাবে বেশ কয়েক মাস চলছিল। কিন্তু ২০২১-র ডিসেম্বর মাসে ৩০ তারিখ থেকে সমস্যা শুরু। তারপর তাঁরা জানতে পারে যে, এটি আদতে একটি ভুয়ো সংস্থা। এছাড়াও বিষ্ণুপুর থানায় ২০২২ সালের চলতি মাসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। পুলিশ জানিয়েছে যে, তাঁদেরকে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। এরপরেই প্রতারিতরা সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হন। এই অ্যাপটি যারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলায় নিয়ে আসে তারা হল সরুফ সুন্দর সুইটিয়া , সঙ্কর প্রসাদ মাইতি (চন্দন)। জানা গিয়েছে,তাঁদের বাড়ি বৈকুন্ঠপুর গ্রাম এবং কাকদ্বীপ থানার অধীনস্থ এলাকায়। এই প্রতারণার পরে অন্য একটি কোম্পানির নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার জ্বাল পাতে অভিযুক্তরা ।সাধারণ মানুষ জন প্রভাবিত করার জন্য মন্ত্রীদের ছবি ব্যবহার করে সেখানে। এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারকেরা হুমকি দিচ্ছে। যদিও এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সাইবার ক্রাইম বিভাগ। সাধারণ মানুষ যাতে আর এভাবে প্রতারণার শিকার না হন, কড়া নজর রাখছে পুলিশ।

Share this article
click me!