উত্তরাখন্ড পুলিশের হাতে গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা। নিউটাউন গৌরাঙ্গনগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম মনীষ দাস।
ডিজিট্যাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে গোটা রাজ্যেই সাইবার প্রতারকদের বাড়বাডন্ত বেড়ে চলেছে। এমনকী নিত্যনতু ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে প্রতারকের দল। এদিকে মোবাইল টাওয়ার তৈরির নাম করে প্রতারণার ঘটনা এই রাজ্যে নতুন নয়। মাঝে কিছুদিন কমেছিল প্রতারকদের দৌরাত্ম। এবার ফের ফের সক্রিয় হয়ে উঠছে এই ধরণের প্রতারণা চক্র। যে কারণে উদ্বেগ বেড়েছে গোটা রাজ্যেই। এদিকে উত্তরাখন্ড পুলিশের হাতে গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা। নিউটাউন গৌরাঙ্গনগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম মনীষ দাস।
নিউটাউনে বসেই টাওয়ার বসানোর নামে এই প্রতারণা চক্র চালাত সূত্রের খবর। গ্রেফতার করে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন সাইবার ক্রাইম থানায় ১০ জানুয়ারি ২০২২ এ জৈনক একজন অভিযোগ করেন যে টাওয়ার বসানোর জন্য জমির প্রয়োজন এবং সেই টাওয়ার বসাতে গেলে জিএসটি, আর্টিজিএস, পলিউশন সহ একাধিক পারমিশনের জন্য টাকা চাওয়া হতো সেই অভিযোগ ১০ই জানুয়ারি ২০২২এ দেরাদুন সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে নিউটাউনে বসেই এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এরপরে দেরাদুন সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের একটি টিম নিউটাউনে আসে এবং নিউটাউন গৌরাঙ্গনগরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে মনীষ দাস নামে একজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে,এই মনীষ দাসই হলো এই প্রতারনা চক্রের মূল পান্ডা। এখানে বসেই এই চক্র চালাচ্ছিল। ২০১৪ সাল থেকে কল সেন্টারে কাজ করত মনীষ। সেই কারণে মানুষকে মগজ ধোলাই করায় পারদর্শী ছিল। শুধু তাই নয় মনীষ টিম লিডার হিসাবে কাজ করত এবং বিভিন্ন ছেলেদেরকে ট্রেনিং দিতো বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এরসঙ্গে আরো অনেকে জড়িত আছে বলে পুলিশের অনুমান। আজ ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হবে এবং ৭দিনের ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানানো হচ্ছে। ধৃত মনীষ দাসকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরাখন্ড নিয়ে যাবে দেরাদুন সাইবার থানার পুলিশ।তবে এই দলের সাথে আর নতুন কেউ সাম্প্রতিককালে যুক্ত হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমনকী এখনও পর্যন্ত মোট কতজন এই প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সব খুইয়েছেন তাও জানার চেষ্টা চলছে।