এদিন একাধিক ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে দুপুর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিকে মমতার বিরুদ্ধেই এবার পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের মাঝেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় (Trinamool supremo Mamata Banerjee)। যা নিয়ে দুপুর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিকে মমতার বিরুদ্ধেই এবার পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar)। যা নিয়েই বর্তমানে ফের শোরগোল শুরু গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য-রাজনীতিতে (state politics of West Bengal)। এদিকে একদিন আগেই রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক (Blocked governor on Twitter) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এবার ফের রাজ্যপালের তোপ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন চর্চা।
এদিন মমতা ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, "আমি স্তম্ভিত। আমার সম্পর্কে ভুল তথ্য পেশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৯০০ টুইট আছে, কোনও জবাব মেলেনি। তাজবেঙ্গল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। এই বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী আমার কাছে কোনও ফাইলও পড়ে নেই। এই ইস্যুতে মিথ্যে অভিযোগ করছে রাজ্য সরকার। কোনও ইস্যুর সমাধান না হলে জবাব দিতে হবে রাজ্যকেই, এটাই গণতান্ত্রিক দেশের নিয়ম। কিন্তু সেটা হচ্ছে কোথায়?"
আরও পড়ুন- অসুস্থ অনুব্রত, ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে
এখানেই না থেমে রাজ্যপালকে আরও বলতে শোনা যায়, মা ক্যান্টিন গত ফেব্রুয়ারি থেক চালু হয়েছে, টাকা কোথা থেকে আসছে ? জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। আমি এনিয়ে জানতে চেয়েছি এখনও কোনও জবাব আসেনি। আইন নয়, শাসকের রাজত্ব চলছে বাংলায়। বিধানসভা ভোট পরবর্তী অবস্থার কথা দেখেছে গোটা রাজ্য। মানবাধিকার কমিশনও মাঠে নামে। কিন্তু এত মানুষের প্রাণ গেলেও দোষীদের কোনও শাস্তি হয়নি। রাজ্য যা চলছে, তা মানবতার পাশাপাশি সংবিধানেরও বিরোধী। রাজ্য প্রতি মুহূর্তে সংবিধান বিরোধী কাজ হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান রক্ষা করাই আমার কাজ। তাই কথা আমি বলবই।"
অন্যদিকে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে করা মমতার একাদিক মন্তব্য নিয়েও তির্যক মন্তব্য করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। তিনি বলেন, "আমি কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খারাপ ভাষা ব্যবহার করিনি। আমি রাজ্যে শিল্প চাই। শিল্পের পরিবেশ আইনের শাসন থাকলে রাজ্যে ঠিকই বিনিয়োগ আসবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। " একইসঙ্গে এদিন পেগাসাস ইস্যু নিয়ে সরব হবে দেখা যায় রাজ্যপালকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "রাজভবন থেকে পেগাসাস ব্যবহারের অসত্য অভিযোগ করেছেন মমতা। এটা ইগোর লড়াই নয়, মুখ্য মন্ত্রী ও রাজ্যপাল সংবিধানের অংশ। সেটা বুঝতে হবে। রাজ্যের মানুষের জনসেবায়ই তাদের প্রধান কাজ। কিন্তু নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন কতটা সেই কাজ করছেন। "
আরও পড়ুন- জাতীয় সংগীত ‘অবমাননা’, মমতার বিরুদ্ধে সমন জারি মুম্বইয়ের আদালতের