আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: হার্নিয়া অপারেশন করতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি। করোনাভাইরাস এবার ঢুকে পড়ল সরকারি হাসপাতালেও! সংক্রমণ রুখতে বেশ কয়েকটি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে। মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের।
ঘটনাটি ঠিক কী? হার্নিয়ার সমস্যা নিয়ে একজন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। বুধবার দুপুরে ওই রোগীর হার্নিয়া অপারেশন হয়। অপারেশনের আগে রুটিন পরীক্ষার জন্য তাঁর লালারস সংগ্রহ করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রিপোর্ট আসা পর্যন্ত আর অপেক্ষা করেননি। অপারেশন হয়ে যাওয়ার পর বিকেলে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এরপর যাঁরা অপারেশন করেছিলেন, সেই নার্স ও চিকিৎসকরা রামপুরহাটে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাও করিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তড়িঘড়ি অপারেশন থিয়েটার-সহ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বেশ কয়েকটি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে অন্য রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে বলেন, 'অপারেশন থিয়েটার আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ হয়েছে কিনা বলতে পারব না।' রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রিকে ফোন করা হলে অন্য একজন ফোন ধরে বলেন, 'হাসপাতাল বন্ধ রয়েছে তা বলতে পারব না। তবে এক রোগীর করোনা হয়েছে জানি।' তবে বহুবার চেষ্টা করে বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের সংখ্যা তেরশোরও বেশি, সরকারি হাসপাতালে এবার বন্ধ সোয়াব টেস্টও
এদিকে আবার রামপুরহাট শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সানঘাটাপাড়া এলাকাটিকে কন্টেমেন্টন জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। দিন তিনেক আগে এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন হাওড়ার চাকপাড়ার এক দম্পতি। স্বামী শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থা চাকরি করেন, আর স্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের মাড়গ্রাম শাখার কর্মী। এরপর যথারীতি যে যার কর্মস্থলে ফিরে যান। স্ত্রীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের যে শাখায় চাকরি করতেন, সেই শাখাটি বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর রামপুরহাটে হোটেল মালিকও নিজে থেকে হোটল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।