সংক্ষিপ্ত
- মালদহে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ
- আক্রান্তের সংখ্যা তেরশোরও বেশি
- সরকারি হাসপাতালে বন্ধ থাকল লালারস পরীক্ষা
- নতুন করে চড়ল আতঙ্কের পারদ
দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: জেলার পরিস্থিতি ভয়াবহ। এবার কী তাহলে সরকারি হাসপাতালে ল্যাবরেটরিতে কর্মরত কর্মীরাও করোনায় আক্রান্ত হলেন? ফের নতুন করে আতঙ্কের পারদ চড়ল মালদহে। সংক্রমণ রুখতে শুক্রবার থেকে টানা তিনদিন ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ, ফের লকডাউন জারি করা হল শিলিগুড়িতে
প্রশাসনিক আধিকারিক, পুলিশকর্তা, এমনকী জনপ্রতিনিধিরাও, রেহাই পাচ্ছেন না কেউই। করোনার 'গোষ্ঠী সংক্রমন' ছড়াচ্ছে মালদহে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, গত দু'দিনে জেলায় নতুন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন দেড়শোরও বেশি মানুষ। আক্রান্তের সংখ্যা তেরোশো পেরিয়ে গিয়েছে। লকডাউন চলছে ওল্ড মালদহ ও ইংরেজ বাজার পুর এলাকায়। এই যখন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে বৃহস্পতিবার দিনভর বন্ধ থাকল লালারস বা সোয়াব পরীক্ষা। এমনকী, করোনা সন্দেহে যাঁদের হাসপাতালের বিশেষ সেন্টারে রাখা হয়েছে, তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা হয়নি। স্যানিটাইজ করার পর শুক্রবার থেকে ফের মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিটি চালু হবে বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালে তরফে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকে প্রান্ত নম্বরও সমান-সমান, যমজ বোনের কীর্তিতে হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা
ল্যাবরেটরিটিকে জীবাণুমুক্ত করার সিদ্ধান্ত কেন নিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ? সূত্রের খবর, ওই ল্যাবরেটরিতে লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার কাজ করেন আটজন। তাঁদের মধ্যে ছ'জনই করোনায় আক্রান্ত! কর্মীদের আকালের কারণে একদিনের জন্য় করোনা পরীক্ষা কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে ওল্ড মালদহ ও ইংরেজবাজার পুর এলাকায় লকডাউন জারি করেছে জেলা প্রশাসন। তবে সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দোকানপাঠ খোলা থাকছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শহরবাসীকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।