সকালে পূর্ণচন্দ্র লাহার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তারাই খবর দেয় পুলিশ। পুলিশ দেহ রামপুরহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
আবারও উত্তপ্ত হল বীরভূমের রাজনীতি। এবার ঘটনাস্থল মল্লারপুর। মঙ্গলবার সকালেই এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরই বাড়তে থাকে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের দাবি কউ এই ব্যক্তিকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে গিয়েছে। তবে এই ব্যক্তি রাজনীতির সঙ্গে তেমনভাবে যুক্ত ছিল না বলেও জানিয়েছে পরিবারে। মৃত ব্যক্তি পূর্ণচন্দ্র লাহা। মল্লারপুরের বড়ুতুড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারাই এদিন সকালে পূর্ণচন্দ্র লাহার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তারাই খবর দেয় পুলিশ। পুলিশ দেহ রামপুরহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।
বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন, এই রাজ্যে বহু বিজেপি সমর্থককে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনাটিও তেননই একটি ঘটনা। তাই এই ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি পূর্ণচন্দ্র লাহাকে দলীয় সমর্থক বলেও দাবি করেছেন। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পরিবারের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু মৃতের পরিবার বলছে অন্যকথা। পূর্ণচন্দ্র লাহা কোনও দিনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে তাঁকে বেশ কয়েক দিন ধরেই হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তাঁরা ভাগ্ন অসীমকুমার সাহা। তিনি আরও বলেছেন পূর্ণচন্দ্রের এক আত্মীয় এলাকায় অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার করেছিল। কিন্তু সময় পার হয়ে গেলেও সেই টাকা শোধ করেনি। তাই পাওয়ানাদাররা বারবার পূর্ণচন্দ্রকে হুমকি দিচ্ছিল। বেশ কয়েক জন তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারে দাবি পাওয়াদাররাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।
মৃত ব্যক্তির ছেলে আকাশ লাহার মনে করছেন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর বাবাকে স্থানীয় পাওয়নাদাররা বাড়িতে এসে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে মারধার করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে প্রথম দিকে ভয়ের জন্য তারা পুলিশের কাছে যেতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।