রবিবার না হলে আরও বড় বিপর্যয় ঘটত, ফরাক্কা কাণ্ডে দাবি স্থানীয়দের

  • রবিবার ফরাক্কায় ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ সেতু
  • সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় দু' জনের
  • সেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের
  • নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়েও উঠছে প্রশ্ন
     

debamoy ghosh | Published : Feb 17, 2020 11:45 AM IST / Updated: Feb 20 2020, 02:04 AM IST

রবিবার বলেই এড়ানো গিয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ফরাক্কা ব্যারেজ- এ সেতু বিপর্যয়ের পর এমনই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, এমনিতে অন্যান্য দিন ওই সেতু নির্মাণে যুক্ত থাকেন কয়েকশো শ্রমিক। কিন্তু রবিবার হওয়ায় সেখানে অনেক কম সংখ্যক কর্মী কাজ করছিলেন। সপ্তাহের অন্যান্য দিন এই বিপর্যয় ঘটলে মৃত এবং আহতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ত বলে দাবি এলাকাবাসীর। 

রবিবার রাতে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের মধ্যে সংযোগকারী ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের পাশে নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ আচমকাই ভেঙে। সেতুর দু'টি জায়গা থেকে ইস্পাতের গার্ডার ভেঙে পড়ে। 

আরও পড়ুন- ফরক্কায় ব্যারেজ-এ ভাঙল নির্মীয়মাণ সেতু, মৃত অন্তত ২, হতাহত বাড়ার আশঙ্কা

এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় দু' জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। তাঁদের মধ্যে একজন অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা কে শ্রীনিবাস রাও প্রকল্পের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছিলেন। এ ছাড়াও দিল্লির বাসিন্দা টেকনিশিয়ান সচিন প্রতাপও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। গুরুতর আহত তিন শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

এ দিন সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে যান মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। পুলিশের পাশাপাশি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পৃথক তদন্ত করছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুও এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পে এই বিপর্যয় ঘটায় তিনিও যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়েন। মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি চন্দনা সরকারের আবার অভিযোগ, সেতু নির্মাণে দুর্নীতির কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে একটি বিদেশি সংস্থার ওই সেতু নির্মাণ করার কথা ছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পরে সেই দায়িত্ব পায় এই ভারতীয় সংস্থাটি। এর পিছনে বড় অঙ্কের আর্থিক দুর্নীতি রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন চন্দনাদেবী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের আবার অভিযোগ, দ্রুত গতিতে সেতু নির্মাণের কাজ করছিল ওই নির্মাণকারী সংস্থা। অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে কাজ শেষ করতে গিয়ে এই বিপত্তি কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

Share this article
click me!