শিবরাত্রি উপলক্ষে তারকেশ্বরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার বলি হলেন তিন যুবক। পুলিশি সূত্রে খবর, এরা সবাই কলকাতার বাসিন্দা। মৃতদের মধ্য়ে কলকাতার নারকেল ডাঙার বাসিন্দা আকাশ দাশ-রাজেশ দাশ এবং আমহার্স্টস্ট্রিটের বাসিন্দা রাজ দাশ। তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছোটু দাশ নামের আরও একজন।
আরও পড়ুন, মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বাজিয়ে এনআরসি বিরোধী সভা, বিতর্কে সাংসদ দোলা সেন
সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে হুগলির তারকেশ্বরের বাগবাড়ি থেকে বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোড ধরে স্কুটি চালিয়ে মন্দিরে যাচ্ছিলেন চারজন। সেসময় উল্টোদিক থেকে আসা লরির ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একজনকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায়, কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, পোষ্যদের জন্য গোটা একটা দিন, চিকিৎসকের চেম্বার উপচে পড়ল উৎসাহীদের ভিড়ে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি স্কুটিতে তিন যুবক বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। মাঝে বাগবাড়ির কাছে স্কুটি থামিয়ে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে একটি দোকানে চা খান তাঁরা। এই সময়ে পরিচিত এক বন্ধুর সঙ্গে তিনজনের দেখা হয়। এরপর তাঁরা সেই বন্ধুটিকেও তারকেশ্বর যাওয়ার জন্য স্কুটিতে তুলে নেন। মোট চারজন মিলে হেলমেট ছাড়াই স্কুটি নিয়ে তারকেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপরই ঘটে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উলটোদিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন, ক্রমেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ, সোমবার থেকে ফের বৃষ্টি বঙ্গে
দুর্ঘটনা রুখতে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য সরকার। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও রাত বাড়লেই জাতীয় সড়কে বাড়তে থাকে গাড়ির গতিবেগ। অপরদিকে যারা বড় গাড়ি চালান, তারা হামেশাই সিট বেল্ট পরেন না আবার দুই চাকার সওয়ারিরা হেলমেট ছাড়াই রাস্তায় নেমে পড়েন। যার ফলে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। রাজ্য সরকারের তরফে কর্মসূচি নেওয়া হলেও, সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ানো যে সম্ভব হচ্ছে না তাই যেন আরও একবার তারকেশ্বরের এই ঘটনায় প্রমাণিত হল।