Murshidabad Road: মুর্শিদাবাদ ঝাড়খন্ড সীমান্তের অ্যাপ্রোচ রোডে ভয়াবহ ধস

ধসের ফলে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৫মিটার অংশ জুড়ে ফাটল ছড়িয়ে পড়ে।

Parna Sengupta | Published : Jan 23, 2022 7:43 PM IST

প্রচন্ড শীতের মধ্যে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও ভিন রাজ্য ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) সংযোগস্থলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের (34 National Highway) অ্যাপ্রোচ রোডে এলাকায় ভয়াবহ ধস (Crack)। ধসের ফলে এলাকা জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ১৫মিটার অংশ জুড়ে ফাটল ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে ওই ব্রিজের কাজ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারপরও সেতুর সামনের অংশে ফাটল দেখা দেওয়ায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

ঘটনার পরই স্থানীয় প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি ফাটলের অংশের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। বিডিও জুনায়েদ আহমেদ বলেন, সেতুর মূল অংশ থেকে অ্যাপ্রোচ রোডে প্রায় অনেকটা অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেতুর নীচের দিকের অংশ সরে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের জানানো হয়েছে"। 

সেতুর নীচে রেলপথ থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ফলে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় আবার ফাটল ধরেছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ কর্তা বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজের মান খতিয়ে দেখবে। তাদেরকে পুরো বিষয়টা আমরা ওয়ার্ক আউট করে জানিয়েছি"। 

প্রত্যক্ষদর্শী  তপন দাস, নুরুল হক বলেন," কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হুরমুড়িয়ে বিকট আওয়াজে ধস নামে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে যেকোনো মুহূর্তে বড়োসড়ো বিপদ ঘটে যেতে পারে"।  বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, এই ঘটনার জেরে মুর্শিদাবাদ পড়শি ঝাড়খন্ড রাজ্যের মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

এদিকে, ধসের পাশাপাশি আবহাওয়া খারাপ হওয়ার জন্য দফায় দফায় বৃষ্টিপাতের ফলে বেড়ে গেল একমুখী ঢাল। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আধুনিক 'ক্রেট করিডোর' বসিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিকে এলাকায় এই আচমকা ভিন রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী জাতীয় সড়কের অ্যাপ্রোচ রোডে ধস ও নতুন করে বৃষ্টিপাতকে ঘিরে অশনিসংকেত দেখতে শুরু করে দিয়েছে ব্যবসায়ী মহল ও স্থানীয় 'ট্রান্সপোর্ট অথরিটি'। যদিও এই পুরো বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।

Share this article
click me!