সাঁতরাগাছি কারশেডের ভেতর থেকে কিছু মালপত্র নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত ট্রলি রেললাইন দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় আপ লাইনের রেলওয়ে ট্র্যাকের উপরেই তা খারাপ হয়ে যায়।
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রেলকর্মীদের পাশাপাশি আপ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সাঁতরাগাছিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কারও প্রাণহানি হয়নি। কিন্তু, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যাত্রীদের মনে। যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সাঁতরাগাছি কারশেডের ভেতর থেকে কিছু মালপত্র নিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত ট্রলি রেললাইন দিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় আপ লাইনের রেলওয়ে ট্র্যাকের উপরেই তা খারাপ হয়ে যায়। এর ফলে সেটি মেরামত করার কাজ চলছিল। ট্র্যাকের উপরই দাঁড়িয়েছিল ট্রলিটি। এদিকে ওই লাইন দিয়েই দুরন্ত গতিতে ছুটে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রলিতে ধাক্কা মারে আপ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেন। জোরে ধাক্কা মারার ফলে ট্রেনের ইঞ্জিনের মধ্যে ট্রলির কিছুটা অংশ ঢুকে যায়। এরপর কিছু দূর গিয়ে ব্যাপক ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় ট্রেন। যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর, সিভিক ভলেন্টিয়ারের পুরুষাঙ্গ কাটার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন- তথ্য গোপনের অভিযোগ, ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতার মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির
ট্রেন আসছে দেখে ট্রলি ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন রেলকর্মীরা। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ট্রলির অংশ ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে বের করা হয়। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় ৩৫ মিনিট পর ইঞ্জিন বদল করে আবার যাত্রা শুরু আপ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল ট্রেন। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয়নি বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে সিপিআরও নিরাজকুমার।
আরও পড়ুন- রোমা ঝাওয়ারকাণ্ডে ১৬ বছর পর সাজা ঘোষণা, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গুঞ্জন সহ ৪ জনের
তবে এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে। কোনও ট্রেন যাওয়ার পথে কেন ট্রলি ছিল? এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলাকালীন কেন ট্রেনটিকে ওই ট্র্যাকে পাঠানো হল? সবথেকে বড় বিষয় হল কাজ যদি চলে তাহলে সেক্ষেত্রে সিগন্যাল কেন দেওয়া হল না। ট্রেনের চালককে এই বিষয়ে আগে থেকে সতর্ক করা হয়নি কেন? এই বিষয়ে এখনও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।