হাওড়া যাওয়ার পথে তমলুকেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্য়েই রাজ্যপুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। পাশাপাশি শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন বলে প্রশ্ন তুলে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
হাওড়া যাওয়ার পথে তমলুকেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁথি থানার তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে শুভেন্দুকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে। কারণ সেখানে ইতিমধ্য়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিকে গতকাল ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনে এই হাওড়ার পথেই গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও এসবের তোয়াক্কা না করেই শুভেন্দুর কনভয় হাওড়ার অভিমুখে এগোতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু। ইতিমধ্য়েই রাজ্যপুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছেন। পাশাপাশি শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন বলে প্রশ্ন তুলে সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে কেন তমলুকেই আটকানো হল, প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। কেন রাজ্যে অঘোষিত জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে, জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন তুলে এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে। এদিকে এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী।
এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কাঁথি থানার তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে শুভেন্দুকে হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় যেতে বারণ করা হয়েছে। কারণ সেখানে ইতিমধ্য়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।এই ঘটনায় শুভেন্দু বলেন, আমার উদ্দেশ্য ছিল, পার্টি অফিসে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখব। চার জন নিয়ে যাব। আমি বিরোধী দলনেতা। আমার অধিকার আছে। ১৪৪ ধারা ভাঙব কেন। এদিকে শুভেন্দু আরও বলেন, 'আমায় আটকালে তো পুলিশের সঙ্গে মারপিট করব না। আজ রবিবার উপায় নেই, তাই আগামীকাল উচ্চ আদালতে যাবো।' একই কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মূলত উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বির্তকিত মন্তব্যের জের এবার উত্তরপ্রদেশ ছাড়িয়ে বাংলায়। ইসলাম বিদ্বেষী এমন ঘটনার প্রতিবাদে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায়, জাতীয় সড়কের একাংশ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। তাই আপাতত বিজেপি বিধায়ককে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে।পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ইতিমধ্যেই উলুবেরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায়, সেই কারণেই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রশাসন। ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার ৭০ এর উপরে। আর নিয়ম লঙ্ঘনের সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনে, হাওড়া যাওয়ার পথে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'মমতার মন্তব্য উস্কানিমূলক, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে', হাওড়া ইস্যুতে বিস্ফোরক সুকান্ত