পূর্বাভাস ছিলো ঠিকই। কিন্তু তাই বলে ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা বুধবারের কালবৈশাখী ঝড় যে আমফানের স্মৃতিকে উসকে দেবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
আরও পড়ুন- ৯৬ কিলোমিটারের ঝড় বইল কলকাতায়, ফিরল আমফানের আতঙ্ক
আরও পড়ুন- আমফান মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্য কেকেআরের, শহরজুড়ে বৃক্ষরোপণ করবে কিং খানের দল
আরও পড়ুন- সাতদিন পরও উত্তর-পূর্বে ভেল্কি দেখাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান, মেঘালয়ে বিপর্যস্ত ৫.২ লক্ষ মানুষ
মিনিট পনোরের বেশি স্থায়ী হয়নি, তবুও প্রবল গতিবেগ ছিলো এদিনের ঝড়ের। আমফানের পরেও যেসব গাছগাছালি বেঁচেবর্তে ছিলো, এদিন সেগুলোও সব উপড়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে উপড়ে পড়েছে অসংখ্য় বৈদ্য়ুতিক খুঁটি। বিভিন্ন জেলায় ভেঙে পড়েছে অসংখ্য় মাটির বাড়ি। ঝড়ে রীতিমতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হুগলির আরামবাগ। সেখানে গাছের ডাল ভেঙে এক মুরগি ব্য়বসায়ীর মৃ্ত্য়ু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে তিনজন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আমফান টের পাননি, কিন্তু বুধবারের ঝড়ে তাঁরা সর্বস্বাস্ত। এলাকার বহু জায়গায় উপড়ে পড়েছে গাছ, উপড়ে পড়েছে বিদ্য়ুতের খুঁটি। মাটির ঘর ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে টালির ঘরও। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মুরগী ব্য়বসায়ীর নাম লালমোহন রায় গুপ্ত, বয়স ৪০। আরামবাগের হরাদিত্য় গ্রামের বাসিন্দা তিনি। বুধবার সন্ধেবেলায় ঝড়ের সময়ে বাড়ির সামনের একটি গাছের ডাল তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঝড়ে আহত হন ওই গ্রামেরই দুজন বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, ঝড়ের সময়ে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন আবুল ফজল নুরবাগ। পথে বাসুদেবপুর মোড়ের কাছে একটি গাছ ভেঙে পড়ে তাঁর মাথার ওপর। গুরুতর জখম হন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২টি সেলাই পড়ে মাথায়।