সংক্ষিপ্ত

  • আমফানের ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি
  • নতুন করে বুধবার সন্ধেতে ভয়াবহ কালবৈশাখী
  • কলকাতার ওপর বয়েছে ৯৬ কিমির ঝড়
  •  নিমেশেই লণ্ডভন্ড হয়েছে শহরের বহু রাস্তা 

আমফানের ক্ষতে এখনও প্রলেপ পড়েনি। নতুন করে বুধাবার সন্ধেতে মরশুমের ভয়াবহ কালবৈশাখী সাক্ষী থাকল মহানগর। এদিন কলকাতার ওপর দিয়ে বয়েছে ৯৬ কিলোমিটার বেগের কালবৈশাখী। নিমেশেই লণ্ডভন্ড হয়েছে শহরের বহু রাস্তা। 

হাওয়া অফিসের খবর, সন্ধ্যা ৬.২৩ মিনিটে শুরু হয় এই  ঝড়। ঝড়ের হাওয়ার গতি ফেরায় আমফান আতঙ্ক। পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৭ এপ্রিল ২০১৮ কলকাতায় ৯৮ কিলোমিটার গতির কালবৈশাখী হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ডকে ভাঙতে পারেনি ঝড়। কিন্তু ক্ষতি সামলে মাথা তোলা কলকাতায় আবারও হানা দিয়েছে বিস্মৃতি। যার জেরে কলাকাতা বাদেও   হাওড়া , কলকাতা, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ,দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুরু বজ্র বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিও হয় প্রত্যেক জেলাতেই। 

সকাল থেকেই গুমোট গরম থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে কালবৈশাখী। কলকাতায় বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তিন ডিগ্রি বেশি। কিন্তু মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। 

এদিনই আমফান পরবর্তী রাজ্য়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি বিঁধেছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, বিদ্যুৎ, জল এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। এটা সংবাদমাধ্যমে লম্বা-চওড়া দাবি করার সময় নয়। এখন দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই আসু কর্তব্য। তবে শুধু রাজ্য়পাল নন, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় কলকাতা পুরসভার ওপর চটেছেন খোদ তৃণমূলের নেতা সাধন পান্ডে। ফিরহাদ হাকিমের দিকে এই ব্যর্থতার দায় চাপিয়েছেন তিনি।