তিনি কি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন? ভিন রাজ্যের যুবকের মৃত্যুর পর রাতারাতি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে।
মৃতের নাম অমৃত সিং। বাড়ি পাঞ্জাবের বানার জেলার তেয়েন্ডা গ্রামে। তখনও লকডাউন শুরু হয়নি। মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমের মুরারই-এর বাঁশলৈ গ্রামে গম ভাঙার কাজ করতে আসেন অমৃত। জানা গিয়েছে, ২ এপ্রিল জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় রাজগ্রাম উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হন। সেদিন সন্ধেবেলায় রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ভিন রাজ্যের ওই যুবকের চিকিৎসা চলছিল আইসোলেশন ওয়ার্ডে। শুধু তাই নয়, উপসর্গ সন্দেহজনক হওয়ায় লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু ওই যুবককে আইসোলেশন ওয়ার্ড সরানো হয়নি। এমনকী, দ্বিতীয়বার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সোয়াব বা লালারস। সেই রিপোর্ট আসার আগেই শনিবার শেষরাতে মারা যান অম়ৃত সিং।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দেদার বিক্রি মদ, শাটার ভেঙে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
এদিকে এই ঘটনার পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন? হাসপাতালের আধিকারিক সুজয় মিস্ত্রি জানিয়েছেন, 'একই ক্যাম্পাসে অন্যন্য রোগীদের সঙ্গে যদি করোনা আক্রান্তদের রাখা হয়, তাহলে অহেতুক আতঙ্ক ছড়াবে। তাই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ডটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।' করোনা আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু হয়েছে তারাপীঠের একটি হোটেলে। তবে হাসপাতাল তরফে যাই বলা হোক না, আইসোলেশন সরানোর ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। সূত্রে খবর, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত যুবকের যাঁরা চিকিৎসা করেছিলেন, তাঁদেরকেও নাকি কোয়ারেন্টাইন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।