শুশুনিয়ার পর জয়চণ্ডী পাহাড়ে আগুন, নেপথ্যে কারা, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

  • শুশুনিয়ার পর এবার জয়চণ্ডী পাহাড়ে আগুব
  • রাতের অন্ধকারে কে বা কার আগুন ধরিয়ে দেয় 
  • তবে প্রশাসনের তৎপরতায় অল্পসময়ের ভেতরেই আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • অল্পকিছু গাছপালা পুড়ে গিয়েছে, কোনও জীবজন্তুর পুড়ে যাওয়ার খবর আসেনি

Sabuj Calcutta | Published : Apr 13, 2020 5:25 AM IST / Updated: Apr 13 2020, 01:22 PM IST

আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে যে পাহাড়ের গুহা থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন স্বয়ং উদয়ন পণ্ডিত, হীরক রাজ্য়ের  সেই লোকেশন  জয়চণ্ডী পাহাড়েই এবার আগুন। শনিবার রাতে কেউ বা কারা  ওই পাহাড় জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। রবিবার সকালে সেই আগুন নেভাতে ছুটে যান পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে।
দিনকয়েক আগেই লাগোয়া জেলা বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে একই ভাবে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তারপর থেকে দাউদাউ করে জ্বলেছিল ওই বিশাল জঙ্গল-পাহাড়। ক-দিনের মাথায় প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারও পাহাড় ও পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে আগুন।  তবে পুরুলিয়ার অন্য়তম পর্যটন কেন্দ্র ও সত্য়জিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের লোকেশন হিসেবে বিখ্য়াত এই পাহাড়ের আগুন নেভাতে শুরুতেই সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। তাই সকালেই ভেতরেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,   পাহাড়ে শুকনো গাছের  পাতা পুড়ছে, আর সেই আগুনের তাপে তাপে শুকনো ঘাস পুড়েছে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন রয়েছে ঘটনাস্থলে। দমকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। এসডিও থেকে শুরু করে রঘুনাথপুর থানার ওসি দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছুর তদারক করছেন। রয়েছেন বিডিও  অনির্বাণ মণ্ডলও। অনির্বাণবাবু জানান, "আগুন আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। শুকনো গাছের কিছু পাতা পুড়েছে। ঘাস পুড়েছে। কোনও জীবজন্তুর মৃত্য়ুর খবর  এখনও পাওয়া যায়নি। বড় কোনও ক্ষতির আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণেএসেছে।"  

 

তবে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা একের-পর-এক পাহাড়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দিনকয়েক আগেই শুশুনিয়া পাহাড়েও একইভাবে আগুন লাগে। যেহেতু শুকনো পাতায় একটা জ্বলন্ত বিড়ি ফেলে দিলেই এইসব পাহাড়-জঙ্গলে আগুন লাগানো যায় সহজেই, তাই বনকর্মীদের চোখ এড়িয়ে এই কাজ করা এমন কিছু কঠিন নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।

 

Share this article
click me!