সংক্ষিপ্ত

  • বন্ধ দোকান, লাটে উঠেছে ব্যবসা
  • করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন দর্জিও
  • গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতন করছেন মানুষকে
  • পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় ঘটনা
লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে, ব্যবসা লাঠে উঠেছে। কিন্তু তাতে কি! দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার অশোক কর্মকার। সাইকেলে চেপে মাইক নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে সচেতন করছেন সাধারণ মানুষকে।\

আরও পড়ুন: মোদীর ডাকে প্রদীপ জ্বালিয়ে বিপাকে, ঝাড়গ্রামের চিকিৎসকদের পাশে বাবুল

অদৃশ্য এক ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে মানবজাতির। সংক্রমণের ঠেকাতে ঘরবন্দি হয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে গোটা দেশে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে? জানা নেই কারও।  বরং লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। শনিবার দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকের পর নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন,  আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাইন চলবে রাজ্যে। 



আরও পড়ুন: লকডাউনের জেরে বন্ধ চড়ক, বরাদ্দ অর্থ কাজে লাগানো হচ্ছে ত্রানের কাজে

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত কাউন্সিলরের এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু, পুরো ওয়ার্ড কোয়ারেন্টাইনে

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় দোকান চালান পেশায় দর্জি অশোক কর্মকার। জামা কাপড় তৈরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু দোকান আর খুলবেন কী করে! করোনা আতঙ্কে এখন অবরুদ্ধ গোটা রাজ্য। তাই বলে তিনি কিন্তু বাড়িতেও বসে নেই। রোজই সকাল-সন্ধে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন অশোক।  বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা বোঝান তিনি। হাতে থাকে ছোট একটি মাইকও। অশোক কর্মকারে বলেন, 'করোনা রুখতে সরকার সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে স্বেচ্ছায় মানুষকে সচেতন করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। অনেকটা কাজও হচ্ছে।'