কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় আটক দাদা, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি নেপাল মাহাতোর

মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার পুরুলিয়া বনধ ডেকেছে জেলা কংগ্রেস। অবশ্য সেই বনধ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Mar 14, 2022 9:44 AM IST / Updated: Mar 14 2022, 03:29 PM IST

ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councilor) তপন কান্দুকে (Tapan Kandu) গুলি করে খুনের ঘটনায় মৃতের দাদাকে আটক (Police Detained Deceased Brother) করেছে পুলিশ। তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দু এবার তৃণমূলের টিকিটে (TMC Ticket) ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি পরাজিত হন। তৃণমূল প্রার্থীর বাবা দীপককে আটক করেছে ঝালদা থানার পুলিশ (Jhalda Police)। ফলে ঠিক কী কারণে তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খুনের পিছনে কোনও রাজনৈতিক কারণ রয়েছে নাকি, পারিবারিক বিবাদ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে ঝালদায় এখনও পর্যন্ত কোন দল বোর্ড গঠন করবে তা নিয়ে কিছু ঠিক হয়নি। ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ড গঠন নিয়ে একটা চাপানউতোর রয়েছেই। আর সেই পরিস্থিতির মধ্যেই খুন করা হল ২ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরকে। ৪ বারের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। সদ্য পুর-নির্বাচনে ঝালদায় ১২টি আসনের মধ্যে সমসংখ্যক আসনে জিতেছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। পাঁচটি করে আসন পেয়েছে দুই দল। বাকি দুটি আসনে জিতেছে দুই নির্দল প্রার্থী। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ঝালদা পুরসভায়। ফলে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করে বোর্ড গঠন করার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেই খুন করা হল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেতারা। 

আরও পড়ুন- 'পুলিশ মন্ত্রী চুপ কেন', বিধানসভায় ওয়াক আউট বিজেপির, হত্যাকাণ্ডে পর্দাফাঁস করল কাউন্সিলরের মেয়ে

এই মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার পুরুলিয়া বনধ (Strike in Purulia) ডেকেছে জেলা কংগ্রেস। অবশ্য সেই বনধ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, "ঝালদাতে এই ধরনের সংস্কৃতি ছিল না। আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চাইছি। বোর্ড গঠনের আগে কাউন্সিলরকে গুলি করে কংগ্রেসকে ঝালদায় সংখ্যালঘু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।" অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই বলে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। 

আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের

সম্প্রতি, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা ভোটে  ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হন তপন কান্দু। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু কংগ্রেসের হয়ে জেতেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার পুরুলিয়া শহরে দলের বৈঠক সেরে ঝালদায় ফেরেন তপন কান্দু। বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি।  অভিযোগ, তখনই বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথায় গুলি লাগে কংগ্রেস কাউন্সিলরের। রাঁচির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।

আরও পড়ুন, খুন করে জামা বদলে জঙ্গলে আশ্রয়, জানতেই আগুন লাগালো স্থানীয়রা, কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "ঝালদায় কংগ্রেসের বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে যাবে এই ভেবে তা বানচাল করে দেওয়ার জন্যই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তপন কান্দুকে হত্যা করল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জিতেছেন, তবু কোথাও বিরোধীদের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হলে, এই ভাবে খুন করবেন।"

Share this article
click me!