সংক্ষিপ্ত

'আমার বাবাকে যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি চাই', সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঝালদা কাউন্সিলার হত্যাকাণ্ডে মুখ খুললেন তপন কান্দুর মেয়ে।   'পুলিশ মন্ত্রী চুপ কেন', সোমবার কাউন্সিলররাদের মার্ডার নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিজেপি এমএলএরা ওয়াকআউট করেন।

 

'পুলিশ মন্ত্রী চুপ কেন', সোমবার কাউন্সিলররাদের মার্ডার নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিজেপি এমএলএরা (BJP MLA) ওয়াকআউট করেন।এদিকে মৃত্যুর আগে কারা হুমকি দিয়েছিলেন, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঝালদা কাউন্সিলার হত্যাকাণ্ডে (Purulia Councillor Murder Case) পর্দা ফাঁস করলেন কাউন্সিলর  তপন কান্দুর মেয়ে।

কারা হুমকি দিয়েছিলেন, পর্দা ফাঁস করলেন কাউন্সিলরের মেয়ে 

কাউন্সিলার হত্যাকাণ্ডে তপন কান্দুর মেয়ে দীপা কান্দু বলেছেন, 'আমার বাবাকে যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি চাই। এটার জন্য সবাই আছে। আইসি, সুরেশ আগরওয়াল, নরেন কান্দু ও তার ছেলে, শ্য়াম কান্দু, ভীম তিওয়ারি এবং বিশ্বনাথ কান্দু। আমার বাবা ভোটে জিতেছে, তাই ওদের এই হারটা সহ্য হয়নি। আইসি হুমকি দিয়েছিলেন যে, আপনাকে যখন তখন তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। নেপাল মাহাতোর উদ্দেশ্যে মেয়ে দীপা বলেন, যারা এরকম করেছে, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক।'  ঝালদা ও পাণিহাটিতে রবিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের কাউন্সিলররাদের মার্ডার নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিজেপি এমএলএরা ওয়াকআউট করেন।

আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের

 'পুলিশ মন্ত্রী চুপ কেন' বিধানসভায় ওয়াক আউট বিজেপির

বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের দাবি, রাজ্যে এত বড় দু -দুটো মার্ডার হয়ে গেল, এদিকে পুলিশ মন্ত্রীর কোনও বক্তব্য নেই। পুলিশ মন্ত্রীর বক্তব্য দাবি করে সোমবার তাঁরা ওয়াকআউট করেন। বিজেপি এমএলএরা বলেন,' রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে।' রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি বলেছেন, 'পুরুলিয়া জেলার ঝালদা পুরসভার ৫ ওয়ার্ড কংগ্রেস, ৫ টি তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাকি ২ নির্দল প্রার্থী। বর্তমানে সেখানে ক্ষমতার টানা পোড়েন চলছে। এরই মধ্যে ঝালদা পুরসভার নবনির্বাচিত এবং চারবারের কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মূলত তৃণমূলের মাত্রাছাড়ানো ক্ষমতার লোভের কারণে একটি প্রাণ হারাতে হয়েছে।' উল্লেখ্য,  ইতিমধ্যেই খুনের মামলায় নিহত তপন কান্দুর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন, খুন করে জামা বদলে জঙ্গলে আশ্রয়, জানতেই আগুন লাগালো স্থানীয়রা, কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ

প্রসঙ্গত, পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়, রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতলে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয়  কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এদিকে ত্রিশঙ্কু ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতেই শাসকদল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো। রবিবার দুপুরে নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে সংবর্ধনা সভা করেছিল কংগ্রেস। সেখানে সস্ত্রীক যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। সভা থেকে বিকেলে একাই বেরিয়ে যান। রাস্তায় আচমকাই তিন দুষ্কৃতি গুলি করে পালায়। প্রথমে গুরুতর জখম তপন কান্দুকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝালদা মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকেই স্থানান্তরিত করা হয়, রাঁচির বেসরকারি হাসপাতালে। এরপরেই মৃত্যু হয় তার।

আরও পড়ুন, বাংলার নির্বাচন আদৌ কি হিংসা মুক্ত, কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে মমতার সরকারকে তোপ বিরোধীদের