ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে আরও তৎপর সিবিআই। তপন কান্দু খুনের তদন্তে প্রথমেই আইসি-কে তলব করার কথা জানিয়েছে সিবিআই।
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে আরও তৎপর সিবিআই। তপন কান্দু খুনের তদন্তে প্রথমেই আইসি-কে তলব করার কথা জানিয়েছে সিবিআই। কারণ আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধেই প্রথমে হুমকির অভিযোগ এনেছিল পরিবার। ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ এনেছেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী। তাই রাজ্য পুলিশের সিটে-র চোখে আইসি নির্দোষ হলেও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ঝালদাকাণ্ডের তদন্ত সূত্রে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন সিবিআই-র ডিআইজি। পাশাপাশি তপন কান্দু খুনে ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
ঘটনাস্থলের অক্ষাংশ-দাঘ্রিমাংশ নিয়ে ম্যাপ তৈরি করে তদন্ত সিবিআই-র
ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে সিবিআই ঘটনাস্থলের অক্ষাংশ-দাঘ্রিমাংশ নিয়ে ওই এলাকার ম্যাপ তৈরি করে তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার রাতে ডিআইজি আধিকারিকদের নিয়ে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু-র বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ তোলেন স্ত্রী। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী।
তপন কান্দুর পরিবার, বাম নেতা সহ মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই
এমনকি এনিয়ে গুরুতর অভিযোগ তোলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের মেয়ে। এদিকে তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইসি-র নাম জড়ানোর পরপরই যে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এমনটাও নয়। তপন কান্দুর মৃত্যুর পর একের পর এক বিক্ষোভ এবং দাবির ভিত্তিতে শেষমেষ কাজ থেকে ক্ষণিকের বিরতি দেওয়া হয় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে। ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে এখনও অবধি ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শী, একজন সিপিএম নেতা এবং তিনজন ব্যাঙ্ককর্মী সহ মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই।
আরও পড়ুন, 'তৃণমূলে আসতেই হবে', ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্তে নামার আগেই ভাইরাল অডিও
প্রায় হেভিওয়েট প্রতিটি মামলায় এখন সিবিআই-র জিম্মায়
প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় অধিকাংশ হেভিওয়েট মামলা সিট-র হাত থেকে সরিয়ে নিয়ে হাইকোর্ট। বেশিরভাগ মামলাতেই রাজ্যপুলিশে ভরসা মামলাকারীদের। এরপরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গরুপাচার থেকে শুরু করে রামপুরহাট গণহত্যা, ভাদু শেখ হত্যা-সহ সম্প্রতি ঝালদা হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকেও রাজ্যপুলিশকে সরিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রতিটি মামলায় এখন সিবিআই-র জিম্মায়। আর এখানেই চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। তার কারণ প্রতিটি মামলাতেই জড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটের নাম।