লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিরাট ধাক্কা পেয়েছে বিজেপি। চার আসনের লড়াইয়ে একটিতেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি পদ্ম শিবির। গতবারের জেতা আসনও হারাতে হয়েছে তাদের।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখেছিল BJP। শুধুমাত্র মানিকতলায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। তবে এবারের উপনির্বাচনে ওই চার কেন্দ্রেই ফুটেছে ঘাসফুল। গতবারের ভোটে জেতা তিনটি কেন্দ্রই হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের। লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিরাট ধাক্কা পেয়েছে বিজেপি। চার আসনের লড়াইয়ে একটিতেও জয়ের মুখ দেখতে পারেনি পদ্ম শিবির। গতবারের জেতা আসনও হারাতে হয়েছে তাদের।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য BJP-র প্রধান মুখপাত্র শমীক। উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোটের সংগঠন নেই । যে কোনও খেলোয়াড় জিতব ভেবেই খেলতে নামে। তবে লোকসভা ভোটের পর কোন পরিস্থিতিতে বিজেপিকে লড়তে হয়েছে এটা সবাই জানে। মানুষকে আটকে দেওয়া হয়েছে সেই কারণে আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালিত হতে হল সেটাও দেখেছি। সন্ত্রাস কীভাবে হয়েছে সেটাও সবার জানান। গুলি-বোমার পাশে রুখে দাঁড়ানোর মতো যে সংগঠন দরকার ছিল সেটা হয়নি’।
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র স্বীকার করে নেন, বর্তমানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়ার মতো সংগঠন তাদের দলের নেই। তবে এরপরেই কার্যত ‘হুঙ্কারে’র সুরে শমীক বলেন, ‘ছাব্বিশে ভোট হবে না। বাংলার মানুষ তার আগেই নতুন সরকার পাবে’।
জেতা আসনে কীভাবে হাতছাড়া হল বিজেপির? সেই প্রসঙ্গে শমীক বলেন, যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোটে লড়ার প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। রানাঘাট এবং বাগদায় মানুষকে জোর করে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় ভুল বার্তাও গিয়েছে। যদিও ওই দুই কেন্দ্রে মার্জিন কেন বাড়ল সেটা দল খতিয়ে দেখবে বলে জানান শমীক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।