কজন সমাজকর্মীর এক্স পোস্ট লাইমলাইটে এসেছে, যেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন মহিলা ডাক্তারের অডিও শেয়ার করা হয়েছে। এই অডিওতে বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। তবে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা এই অডিও-র দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।
গত শুক্রবার খাস কলকাতার এই হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সূত্র ধরে সঞ্জয় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা।
এদিকে, আরজি করের পাশবিক নারকীয় ধর্ষণ নিয়ে গোটা দেশ ফুঁসছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল নির্যাতন করার পিছনে ক'জন জড়িত? সেদিন রাতে আদৌ কি সেমিনার রুমেই ঘটেছিল এই নৃশংস ঘটনা? যা নিয়ে তদন্তে নেমেই উদ্বিগ্ন সিবিআই আধিকারিকরা।
সম্প্রতি, একজন সমাজকর্মীর এক্স পোস্ট লাইমলাইটে এসেছে, যেখানে একটি হাসপাতালে কর্মরত একজন মহিলা ডাক্তারের অডিও শেয়ার করা হয়েছে। এই অডিওতে বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। তবে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা এই অডিও-র দাবির সত্যতা যাচাই করেনি।
কারা ছিল সেই ৭ চিকিৎসক?
মধু কিশওয়ার নামে একজন সমাজকর্মী তার টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি বিস্ফোরক পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই পোস্টে তিনি দাবি করেছেন যে আরজি কর হাসপাতালের ওই মহিলা চিকিৎসক অডিওতে হাসপাতালের অন্ধকারের কথা ফাঁস করেছেন। এই অডিওতে দাবি করা হয়েছে, খোদ আরজি কর হাসপাতালের ৭ শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের হাতে খুন হয়েছেন ওই মহিলা চিকিৎসক। অডিওটিতে অন্য একজন মহিলা ডাক্তার এবং তার প্রেমিক জড়িত বলে জানা গেছে, যার সাথে সেমিনার হলে ডিনারের সময় এম (ভুক্তভোগীর জন্য ব্যবহৃত নাম) তর্ক হয়েছিল।
কী ধরনের অভিযোগ উঠল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে?
এই অডিওতে হাসপাতালে যৌন ও মাদকের র্যাকেট, ঘুষ ও কারচুপির মতো অপরাধের নাম নিয়ে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, দাবি করা হয়েছে যে তৃণমূলের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে সন্দীপের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই অডিওতে বলা হচ্ছে যে ভুক্তভোগী এমকে তার থিসিস সম্পূর্ণ করতে দেওয়া হচ্ছিল না, যখন তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন, তখন তাকে ৩৬ ঘন্টার জন্য নাইট শিফটে রাখা হয়েছিল। নির্যাতিতার উপর চাপ দেওয়া হচ্ছিল কিন্তু তবুও তিনি তার অবস্থান থেকে সরে যাননি। শেষ পর্যন্ত অনেকে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং পরে দেয়াল ভেঙ্গে প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।