আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার পর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তারপরেও পুলিশকর্মীদের আচরণে কোনও বদল দেখা যাচ্ছে না।
কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের কাছেই একদা রাজ্যের সচিবালয় মহাকরণের সামনে এক ট্যাক্সিচালককে ব্ল্যাকমেল করে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই পুলিশকর্মী। ধৃতদের নাম কৌশিক ঘোষ ও মনসির। তাঁরা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত। কড়েয়া থানার আধিকারিকরা ব্ল্যাকমেল ও তোলাবাজির অভিযোগ পেয়ে এই দুই পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ব্ল্যাকমেল ও তোলাবাজির অভিযোগের সারবত্তা আছে। ফলে বিপাকে পড়ে গিয়েছেন ধৃত পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের কঠোর শাস্তি হতে পারে। চাকরি থেকে সাসপেন্ড বা বরখাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী, অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা না-ও পেতে পারেন তাঁরা।
মহাকরণের সামনে কী করে তোলা আদায়?
ট্যাক্সিচালকের অভিযোগ, ২৯ অগাস্ট বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে তাঁর ট্যাক্সিতে ওঠেন দুই ব্যক্তি। তাঁরা বলেন, মহাকরণ হয়ে শক্তিগড় যাবেন। সেই অনুযায়ী মহাকরণের সামনে ট্যাক্সি দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁরা ভিতরে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বেরিয়ে এসে নিজেদের পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেন। নিজেদের নামও বলেন তাঁরা। ট্যাক্সিচালক ৪ লক্ষ টাকা না দিলে তাঁকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা আরও বলেন, ট্যাক্সি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই হুমকিতে ভয় পেয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা জোগাড় করে কৌশিক ও মনসিরের হাতে তুলে দিয়ে রেহাই পান এই ট্যাক্সিচালক। এরপর ৩০ অগাস্ট তিনি কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী ব্যবস্থা নেবে কলকাতা পুলিশ?
কলকাতা পুলিশের দুই কর্মী তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
আর জি কর, আনিস খান-সহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত, তারপরেও কেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর আস্থা রাজ্যের?
তথ্য লোপাটের দায়ে সিবিআই হেফাজতে! অবশেষে টালা থানার ওসিকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিশ