
Sukanta Majumdar: সোনাগাছির নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য, বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা। সোনাগাছির নারীদের উদ্দেশ্যে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার, ২২ জুন, বুরটোলা থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৯/৩৫২ ধারায় (BNS) এই মামলা রুজু হয়েছে (কেস নম্বর ১১০/২৫)।
অভিযোগকারিণী জুলী পাতুয়ার অভিযোগ, ২২ জুন বা তার আগে, সাংসদ জনসমক্ষে এমন কিছু শব্দ উচ্চারণ করেন যা সোনাগাছি এলাকার নারীদের মর্যাদাকে হানি করে এবং ওই মন্তব্যে শান্তিভঙ্গের প্ররোচনা ছিল। তাঁর বক্তব্য, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে জনসমক্ষে বলা হয়েছে যাতে মহিলাদের অপমান এবং জনসাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানো যায়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্তব্যের প্রেক্ষাপট ও সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বা বিজেপির তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ ও সাক্ষ্য গ্রহণের কাজ চলছে। এই অভিযোগ রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নারাজ।
জানা গিয়েছে, সুকান্ত মজুমদার যিনি নিজে পেশায় একজন অধ্যাপক। তার উপর দুইবারের জয়ী বিজেপি সাংসদ। এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতির মতোন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। আবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তার মুখে যৌনকর্মীদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনায় সুকান্ত মজুমদারকে অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তৃণমূলের অফিসিয়াল 'X' হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। মাত্র আট সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি গাড়িতে বসে রয়েছেন সুকান্ত। পুলিশদের লক্ষ্য করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ''আপনারা আইনটাকে সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে (যৌনকর্মী) পরিণত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের আইনটা।'' সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে আক্রমণ করেন দেবাংশু ভট্টাচার্যও। কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।