অভিষেক বলেন মাথা নত করলে জনগণের কাছে করব। দিল্লির দানবদের কাছে নয়। বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। বিজেপি দোষ করলে আইন আলাদা।
রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছেন, সেটাকে আমি সমর্থন করি না। আমি কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী ‘দিদি ও দিদি’ বলায় তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব কেন খারিজ হবে না কেন? রাহুলের মন্তব্যে মোদী-ভাবাবেগ আহত হলে, প্রধানমন্ত্রীর দিদি-মন্তব্যে অপমানিত মহিলারা ! এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন মমতাকে বক্রোক্তি করার জন্য মোদীরও পদ যাওয়া উচিত।
অভিষেক বলেন মাথা নত করলে জনগণের কাছে করব। দিল্লির দানবদের কাছে নয়। বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আর বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। বিজেপি দোষ করলে আইন আলাদা। তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেত্রে আজ ট্রেলার দেখালাম। আগামিদিনে দিল্লিতে আন্দোলন করব। তিনি বলেন সিবিআই করুন। কিন্তু মানুষের কাজের জন্য টাকা দিন। আমি জেদি ছেলে। একা হলেও আমি দিল্লিতে যাব। দিল্লি অচল করে ছাড়ব।
অভিষেকের দাবি গণতন্ত্রে শেষ কথা বলেন জনতা। কোর্ট বলে না। রাজনৈতিক নেতা বলেন না। সংবাদমাধ্যম বলে না। গণতন্ত্রে গণদেবতা হলেন মানুষ। আমি ভেবেছিলাম শহিদ মিনারের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে আজ সভা শুরু করব। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের কয়েকটি নির্দিষ্ট শর্ত থাকায় সেটা করতে পারিনি আমি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ছাড়পত্র দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে বলা হয়, CCTV ক্যামেরা দিয়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মুড়ে ফেলতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা। সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। তাই অভিষেক এদিন সভার শুরুতেই বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনে সভা করতে হচ্ছে'। লোকারণ্য দেখে তিনি বলেন, 'যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে বলে ভাবছিল, এই সভা তাঁদের জবাব। আগামীদিনে দিল্লির বুকেও হবে এমন আন্দোলন' ।
শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দেন 'দিল্লি থেকে আমরা সব দাবি ছিনিয়ে আনব। কেউ শেষ কথা বলে না, বলেন গণদেবতা।' ফের একবার সভা মঞ্চ থেকে তুললেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ। এর আগেও বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে যেন সেই সুরই শোনা গেল।