অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় অপরাধের দিন অর্থাৎ ৮ আগস্ট রাতে সোনাগাছি এলাকায় গিয়ে মদ খেয়েছিল।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার অভিযুক্ত ঘটনার রাতে শহরের রেড লাইট এলাকায় গিয়েছিল। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় অপরাধের দিন অর্থাৎ ৮ আগস্ট রাতে সোনাগাছি এলাকায় গিয়ে মদ খেয়েছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক জুনিয়র মহিলা ডাক্তারকে নৃশংস ভাবে হত্যার ও তারপর খুনের ঘটনায়, সিসিটিভির ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে সেমিনার হলে ঢুকতে এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। জুনিয়র ডাক্তার একই সেমিনার হলে ঘুমাচ্ছিলেন। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকের লাশ পাওয়া যায়।
তদন্ত করছে সিবিআই-
চিকিত্সকদের প্রতি নিষ্ঠুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু কলকাতা নয়, সারা দেশে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। অনেক শহরে চিকিৎসকরা ধর্মঘট করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর এই মামলার তদন্তভার চলে গেল সিবিআইয়ের হাতে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টও এই মামলার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে গ্রহণ করেছে এবং একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। শুনানিকালে আদালত কড়া মন্তব্য করেন।
সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ কর্মক্ষেত্রে ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য ১০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে থাকবেন নৌবাহিনীর মেডিক্যাল সার্ভিসের মহাপরিচালক অ্যাডমিরাল আরতি সারিন। এই টাস্কফোর্স দুই মাসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের সুপারিশ পেশ করবে।
কলকাতা পুলিশের তৎপরতা
১৪ এবং ১৫ আগস্ট রাতে, আরজি কর মেডিকেল কলেজে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সময়, কলকাতা পুলিশের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এসে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ দুই সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার এবং একজন পরিদর্শককে সাসপেন্ড করেছে। ঘটনার রাতে তিনি সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।