বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হত ২ মাসে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১৪১। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট।
ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। রাজ্যে প্রত্যেকদিন বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী হত ২ মাসে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ১৪১। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই উপসর্গ জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট। ইতিমধ্যেই রাজ্যে উদ্বেগ বেড়েছে শিশু মৃত্যু ঘিরে। এই আবহে দেশে মৃত্যু হল আরও ৪ শিশুর। এদের মধ্যে একজনের বয়স সাত মাস। বনগাঁর বাসিন্দা এই শিশু জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটিকে স্থানান্তরির করা হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ডেথসার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে সিভিয়ার নিউমোনিয়ার। রবিবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও এক দেড় বছরের শিশুর। দত্তপুকুরের বাসিন্দা এই শিশু জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে বিসিরায় হিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও এক শিশুর। দক্ষিণশ্বের বাসিন্দা, ৬মাসের এক শিশুকে গত সোমবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো ভাইরাল নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দু'জন শিশুর। এরা দু'জনেই জ্বর-সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। এদের প্রত্যেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এরা প্রত্যেকেই অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত কি না সেবিষয় এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য যে সমস্ত শিশুরা অ্যাডিনো ভাইরাস জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় মারা গিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা অ্যাডিণ ভাইরাল নিউমোনিয়া লিখছেন। এখন দেখার যে এই শিশুরা আদৌ অ্যাডিনো ভাইরাস জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নাকি অন্য কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জায়?
এছাড়া মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যু হয়েছে একটি সাড়ে আট মাসের শিশুর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর শিশুটির বাড়ি হরিপালে। গত ২৫ তারিখ চুচুড়া ইমামবারা হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির। হাসপাতাল সূত্রে খবর শিশুটির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলেও তার অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। ফলত ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে রেসপিরেটরি ইলনেসের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৯৮ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে সিংভাগই সরকারি হাসপাতালে, বিশেষত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে।