যদি জুনিয়র ডাক্তারকে বসিয়ে মদ খাওয়ানো হয়, জুনিয়র ডাক্তাররা যদি গেস্ট হাউজে বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসে, তাহলে পরিবেশ কীভাবে ঠিক থাকবে।
একে একে বেরিয়ে আসছে অবিশ্বাস্য সকল তথ্য। এখনও চলছে তদন্ত। আরজি কর কাণ্ডে ঠিক কী কী ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে উঠছে প্রশ্ন। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এবার এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
তিনি বলেছেন, আরজি করের পরিবেশ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর পরিবেশ খারাপ হওয়ারও ছিল। যদি জুনিয়র ডাক্তারকে বসিয়ে মদ খাওয়ানো হয়, জুনিয়র ডাক্তাররা যদি গেস্ট হাউজে বাইরে থেকে মেয়ে নিয়ে আসে, তাহলে পরিবেশ কীভাবে ঠিক থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সন্দীপ ঘোষ আসার আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেদ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ায় ১ নম্বর মেডিক্যাল কলেজ ছিল। আমি পাঁচ জন প্রিন্সিপ্যাল ৬ জন মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট, ভাইস প্রিন্সিপ্যালের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু, ওঁর মতো নোংরা ল আমি দিখিনি। ও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকেই নোংরা রূপ দেখাতে শুরু করে। প্রথমে ছাত্রদের পিছলে লাগা, তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা, ফেল করানো, তোলাবাজি- একের পর এক পর্দা ফাঁস হয়। তিনি বলেন, তিনি যে দুর্নীতি দেখেছে তা নিয়ে আওয়াজ তোলেন। তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকেও জানান।
তিনি বলেন, তিনি ১৬ বছর ওই মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন। সারাদিন থেকেছেন। তিনি দাবি করেছেন সন্দীপ ঘোষ খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তবে, তিনি আশা রাখেন সকল দুর্নীতির বিচার হবে। এখন তিনি আদালতের ওপর ভরসা রেখেছেন বলে জানান।